গত জানুয়ারি পর্যন্ত ৭টি স্প্যান বসানো দেখা গেছে... এখন ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে চোখে পড়লো ৯টি স্প্যান বসিয়ে শেষ সেতু গড়ার কাজ। এখন বাকি রেললাইন বসানো আর ফিনিশিং।
এখন ঢাকা থেকে দেশের পূর্বাঞ্চলে ও উত্তর পূর্বাঞ্চলগামী ট্রেন মেঘনা পাড়ি দেয় ১৯৩০ সালে বৃটিশ শাসন আমলে নির্মিত সেতু দিয়ে।
এরপর গেল ৮৫ বছরে আর মেঘনায় কোন রেল সেতু নির্মাণ হয়নি। এরমধ্যে চালু হয়েছে অনেক রেল। বেড়েছে যাত্রী পরিবহন। এসেছে নতুন কোচ। সে হিসেবে পুরাতন সেতুর পাশে নতুন সেতু গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা ছিলো।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকা চট্রগ্রাম ডাবল লাইনের একটা 'মিসিং পয়েন্ট' ছিলো এই মেঘনা অংশ। এখানে দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ এখন প্রায় শেষ। এর ফলে ঢাকা চট্রগ্রাম ডাবল লাইন হতে আর মাত্র কয়েকমাস বাকি।
রেলের পূবাঞ্চল ব্যবস্থাপক ও দ্বিতীয় ভৈরব রেলসেতু প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হাই রোববার দুপুরে বাংলানিউজকে জানান, ৯ টি স্প্যান বসিয়ে সেতু নির্মাণ হয়ে গেছে। এখন বাকি শুধু সেতুর ওপর রেল লাইন টানা। এরমধ্যে সেতুর দুই পাশের কিছু অংশে রেল লাইন টানা শেষ।
তিনি আরও জানান, সাড়ে ৭শ মেট্রিক টন ওজনের একেকটি স্প্যান বসানোর কাজ শুরু হয়েছিলো তিনমাস আগে । একেকটি স্প্যানে ৬০ হাজার নাটবল্টু লাগাতে হচ্ছে।
এখন বলা যায় সেতুর প্রায় ৯৪ ভাগ কাজ শেষ। আগামী এপ্রিলে ট্রেন উঠবে দ্বিতীয় ভৈরব রেলসেতুতে। পাশাপাশি সচল থাকবে পুরাতন সেতুও। দুই সেতু দিয়ে ডাবল লাইনে চলাচল করতে পারবে রেল, বলেন আব্দুল হাই।
৫৬৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যায়ে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইফকন-এফকনস যৌথভাবে রেলসেতু নির্মাণের কাজ করছে। এই রেলপথে একটি বুলেট ট্রেন চালুরও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময় ১৪৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৭
এসএ/এমএমকে