গ্রেফতার জোবায়েরের বাড়ি বংশালের মাহুতটুলীতে। তার বাবার নাম আব্দুল গনি।
গত মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে সন্দেহজনক একটি মোটরসাইকেলকে থামার ইশারা করেন পুলিশ সদস্যরা। এ সময় গতি থামিয়ে তিন আরোহীর একজন পুলিশকে এসিড নিক্ষেপ করেন। এতে দগ্ধ হন উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুজ্জামান ও কনস্টেবল মো. রফিকুল আলম। পরে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালালে জোবায়ের বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হন।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা বংশাল থানার (ওসি, তদন্ত) মো. কায়কোবাদ কাজী বাংলানিউজকে বলেন, পলাতক দুই হামলাকারীর সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি। তাদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অর্থোপেডিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জোবায়েরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার বাম পায়ের হাঁটুতে গুলি লেগেছে। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জোবায়ের নিজেকে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সক্রিয় সদস্য বলে জানিয়েছে। তাই আমরা ধারণা করছি পালিয়ে যাওয়া দুই হামলাকারীও ওই দলের সদস্য।
তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, জোবায়েরের বাসায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। তবে সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, এসিডে দগ্ধ এসআই নুরুজ্জামান স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও কনস্টেবল মো. রফিকুল আলম ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের শারীররিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৭
আরএটি/আরআর/আইএ