সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বগুড়ার শেরপুর ও শিবগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত পৃথক দু’টি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আলাদা আলাদা আমলী আদালতে হাজির করে রিমাণ্ড আবেদন জানানো হয়।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ২০১৬ সালের রোববার (০৩ এপ্রিল) শেরপুর উপজেলার জুয়ানপুর কুটির ভিটা গ্রামের একটি ভাড়া বাড়িতে বোমা বানাতে গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটে।
পরদিন সোমবার (৪ এপ্রিল) আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেই বাড়ি থেকে ২০টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ৪টি বিদেশি পিস্তল, ৪০ রাউন্ড গুলি ও বোমা তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে। অভিযানকালে পুলিশ বাড়িটি থেকে একটি মোটরসাইকেল, একটি বাইসাইকেল, কয়েকটি চেক বইসহ বেশ কিছু ধর্মীয় বইপুস্তুক উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় বিস্ফোরণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে তদন্তকালে ওই ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধীর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় দায়েরকৃত বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর শীর্ষ জেএমবি নেতা জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধীকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৪ এর বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুনের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমাণ্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক ৮ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
অপরদিকে শিবগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তদন্ত কর্মকর্তা রাজু কামাল বাংলানিউজকে জানান, ২০১৬ সালের ১৩ জুন গভীর রাতে উপজেলার ভায়েরপুকুর এলাকায় জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধীর নেতৃত্বে জেএমবি সদস্যরা নাশকতামূলক তৎপরতা চালানোর জন্য গোপন বৈঠকে মিলিত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালাতে গেলে রাজীব গান্ধী পালিয়ে গেলেও তার সহযোগিরা ধরা পড়ে। ওই ঘটনায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্তকালে ধরাপড়া সহযোগীরা গোপন সভায় রাজীব গান্ধীর উপস্থিতির কথা স্বীকার করে।
সেই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-০৩ এর বিচারক কামরুজ্জামানের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমাণ্ড আবেদন জানানো হয়। শুনানি শেষে আদালতের বিচারক ৭ দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন বলে জানান এসআই রাজু কামাল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৭
এমবিএইচ/বিএস