সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে নন্দীপাড়া ব্রিজ থেকে ত্রিমোহনী গুদারাঘাট পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
এই এলাকায় সরকারি খাল দখল করে বানানো হয়েছিল দোকানপাট ও বাড়িঘর।
হেলাল মিয়া বলেন, ২০ বছর আগে খালটি দিয়ে নৌকা চলাচল করত। আর এখন খালের পচা পানির দুর্গন্ধে বাড়িতে পর্যন্ত থাকা যায় না। খালের পাশের রাস্তাগুলো আরও বড় ছিল, কিন্তু এখন দখল করে সব নষ্ট করে ফেলেছে। তবে, সরকার এখন যে কাজ করছে এতে খাল আবার জোয়ান হয়ে উঠবে।
আরেক স্থানীয় বাসিন্দা আকেল আলী বলেন, ‘সরকারের জায়গা দখল করে কোটি কোটি টাকা কামাইছে আর মানুষ চলাফেরা করার রাস্তা পর্যন্ত বন্ধ করে দিছে। তাদের এত ক্ষমতা যে এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বলতে পারত না। এহন সরকার যখন ধরছে আর কথা বলার সাহস নাই। মেয়র সাহেব যে এমন একটা কাম করছে তার জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। ’
স্থানীয় বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন, ‘কোনোভাবে একটি-দুইটি দোকান খালের ওপর বানিয়ে দোকান প্রতি ১ থেকে দেড় লাখ টাকা অগ্রিম নিত দোকান মালিকেরা। এছাড়া প্রতি মাসে দোকান প্রতি ভাড়া নিত ৫- ১০ হাজার টাকা। এভাবে তারা গত ২০ বছর ধরে টাকা ইনকাম করছে। ’
তিনি বলেন, ‘এখন তাদের এই অবৈধ ব্যবসা শেষ। সরকারের সঙ্গে কারো জোর চলে না। সরকারের এ সিদ্ধান্তে আমরা এলাকাবাসী সবাই খুশি। এখন আমরা চলাফেরা করার জন্য ভালো রাস্তা পাব। ’
অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন নিজে থেকে পরিচালনা করেন। এ সময় তার সঙ্গে থেকে এ অভিযানকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শহীদুল ইসলাম, ডিএসসিসি’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুস সৈয়দ ও ওয়াসার এমডি তাসলিম এ খান।
গত ২২ জানুয়ারি রাজধানী ঢাকাকে গ্রিন সিটি ও রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে কালভার্ট ও খালগুলোকে মুক্ত করার জন্য মেয়র খোকন এ উচ্ছেদ অভিযানের ঘোষণা দেন। পর্যায়ক্রমে রাজধানীর সব খাল ও কালভার্টগুলোকে অবৈধ দখলমুক্ত করে সচল করা হবে বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৭
এমএ/আরআর/পিসি