ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

দখলদার উচ্ছেদে বিন্দুমাত্র ছাড় দেবেন না মেয়র খোকন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭
দখলদার উচ্ছেদে বিন্দুমাত্র ছাড় দেবেন না মেয়র খোকন অনুষ্ঠানে মেয়র সাঈদ খোকনসহ অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন।

তিনি বলেছেন, গুলিস্তান ও মতিঝিল এলাকার ফুটপাত একমাস দখলমুক্ত রাখা হয়েছে। অবৈধ খাল দখলমুক্ত করা হয়েছে।

তেমনিভাবে অন্যান্য সকল দখলদারদেরও উচ্ছেদ করা হবে।  

বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির  প্রধান ক্যাম্পাসে ‘নাগরিক সাংবাদিক ও নগর প্রধান মতবিনিময় এবং নাগরিক সাংবাদিকতা কর্মশালা’য় মেয়র এ কথা বলেন।

সাঈদ খোকন বলেন, চাঁদাবাজি-মাস্তানি করে যারা চলছে, তারা যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, তখন তাদের ছত্রছায়ায় দাপট দেখায়। তাদের কোনো রাজনৈতিক ভিত নেই। তারা কোনো সুস্থ মানসিকতার লোক নয়। নাগরিকদের অসুবিধা করে তারা অবৈধভাবে কিছু করবে, আমি যতদিন অফিসে আছি, ততদিন তা হতে দেবো না। অবৈধ দখলদাররা শহরের যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন, বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।  

“আমরা হকারদের পুনর্বাসনের প্রস্তাব দিয়েছি। বিনা পয়সায় তাদের বিদেশ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। সরকারি নানা প্রকল্পে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে। তাদের নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধার ‘ঘরে ফিরো’ কর্মসূচিও হাতে নেওয়া হয়েছে।  

মেয়র জানান, হকারদের জন্য পাঁচটি হলিডে মার্কেট চালু করা হয়েছে। এরইমধ্যে তিনটি মার্কেট জমে উঠেছে, বাকি দু’টির কাজ চলছে। নাইট মার্কেট চালু করা হয়েছে। এভাবেই সব হকারকে পুনর্বাসন করা হবে। তাছাড়া হকার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে কিন্তু সাধারণ নাগরিকরা কথা বলছেন না। বিরোধিতা করছে চাঁদাবাজ-মাস্তানরা। এদের প্রতিরোধে সাংবাদিকদের ভূমিকা জরুরি।

২০১৮ সালের মধ্যে পুরো ঢাকা শহরকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় এনে  সব অনিয়ম, মাস্তানি, চাঁদাবাজি দূর করা হবে বলেও জানান সাঈদ খোকন।

বায়ু দূষণ নিয়ে সিটি কর্পোরেশন কী ভাবছে? মতবিনিময়ে এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, দিল্লি শহরের তুলনায় বায়ু দূষণে ঢাকা স্বর্গ। ঢাকা শহরে বায়ু দূষণের মাত্রা বেশি, তবে অন্যান্য শহরের তুলনায় কম। মগবাজার ফ্লাইওভারের কাজ ও রাস্তা সংস্কারের জন্য বায়ু দূষিত হচ্ছে। দূষণ রোধের মূল দায়িত্ব পরিবেশ অধিদপ্তরের। আমরা তাদের সঙ্গে মিলে একটি রোডম্যাপ তৈরি করবো। তবে এখনই সমস্যার সমাধান হবে, এটা বলছি না। এটা সময়সাপেক্ষ। আমরা এ সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হবো।  

অনুষ্ঠানের প্রশ্নোত্তর পর্বে বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি, ব্যাচেলরদের বাড়ি ভাড়া না দেওয়া, পার্কিং সমস্যা, যানজট, গণ শৌচাগার সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর দেন মেয়র সাঈদ খোকন।

অনুষ্ঠানে প্রধান তথ্য কমিশনার ড. গোলাম রহমান বলেন, নাগরিক সাংবাদিকতা যারা করবেন, তাদের তথ্য প্রদানে স্বচ্ছতার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তথ্যের যথার্থতা থাকলে রামু কিংবা নাসিরনগরের মতো ঘটনা ঘটতো না।

নাগরিকদের কেবল সমস্যার কথা না বলে এসব সমস্যা থেকে কিভাবে উত্তরণ ঘটানো যায়, তার উপায় কর্তৃপক্ষকে জানানোর আহ্বানও জানান ড. গোলাম রহমান। একইসঙ্গে তিনি রাস্তাঘাটে উন্মুক্ত ঘুষ দুর্নীতি বন্ধে মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব সাংবাদিকতা বিষয়ক কর্মশালায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা বিভাগের ২০ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এখানে প্রশিক্ষক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস ও ফাহমিদুল হক।

আরও উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সবুর খান, উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সাখাওয়াত আলী খান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭
এএম/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।