এ রকম ‘আউটসোর্সিং’ কাজের মাধ্যমে কাজের মান বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফ্রেব্রুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রী বনানী-বিমানবন্দর সড়কের সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ পরিদর্শন করেন।
** নির্বাচন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না
বনানী থেকে বিমানবন্দর ৬ কিলোমিটার সড়ক ‘ডিজিটাল সড়ক’ নির্মাণের কাজ চলছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভিনাইল ওয়ার্ল্ড গ্রুপ তাদের নিজস্ব অর্থায়নে এ কাজ করছে। প্রকল্পের সম্ভ্যাব্য ব্যয় ৯০ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। প্রতি বছর ৫ কোটি টাকা রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় হবে। ১০ বছর মেয়াদী এ প্রকল্পে সব মিলিয়ে ভিনাইল ওয়ার্ল্ড ব্যয় করবে ১৪০ কোটি টাকা। গত ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া প্রকল্পটি শেষ হবে আগামী জুলাই মাসে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটি একটি মডেল রাস্তা। এমন রাস্তা বাংলাদেশে দ্বিতীয়টি নেই। কোয়ালিটি কাজ পাওয়ার জন্য আমাদের আউটসোর্সিং করতে হচ্ছে। তারা ভালোভাবে শুরু করেছে। এর আগে এ সড়কটিকে এতো সুন্দর দেখা যায়নি। এখনও অনেক কাজ বাকি।
মডেল সড়ক বলায় প্রশ্ন আসে ভবিষ্যতে আর কোন সড়ক এমনটি করা হচ্ছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঢাকার পোস্তগোলা থেকে ভাঙ্গা পযন্ত ৫৫ কিলোমিটার সড়ক এক্সপ্রেসওয়ে সার্ভিসলেনসহ ৬ লেনে রূপ নেবে। ওই সড়কেও এমন কাজ করা যেতে পারে বলে জানান মন্ত্রী।
ভিনাইল ওয়াল্ড গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আবেদ মনসুর বলেন, মন্ত্রীর উৎসাহে তারা ডিজিটাল সড়ক ও অন্যান্য সড়কগুলোরও সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির কাজের পরিকল্পনা নেবেন। এছাড়া রেলস্টেশন ও বিমানবন্দর বিউটিফিকেশন কাজেরও পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী জানান, বনানী বিমানবন্দর সড়কে সৌন্দর্য্য বর্ধন প্রকল্পের অধীনে ২৯০টি আধুনিক বৈদ্যুতিক খুঁটি স্থাপন হয়েছে। ২৯০ সেট ডিজিটাল এলইডি বৈদ্যুতিক বাতি, ৮শ’ সেট গার্ডেন লাইট, ১৫০টি গার্ডেন বেঞ্চ বসানো হয়েছে এবং ১২টি ডিজিটাল যাত্রী ছাউনি বসানোর কাজ চলছে।
এছাড়া ১২টি আরএইচডি সার্ভিস পয়েন্ট নির্মাণ হচ্ছে যেখানে পাবলিক টয়লেট, এটিএম বুথ, ভেন্ডিং মেশিন, ব্রেস্ট ফিডিং জোন, ফ্রি বিশুদ্ধ খাবার পানি, চার্জিং স্টেশন, মানি চেঞ্জার, পুলিশ বক্স, ইনফরমেশন বুথ, মিনি স্ক্যান কর্ণার ও ক্যাশ ইন রিচার্জ পয়েন্ট থাকবে।
ওবায়দুল কাদের জানান, ৬ কিলোমিটারের মধ্যে আরও বসানো হচ্ছে ১২০টি ডিজিটাল ডাস্টবিন, ১২টি দৃষ্টিনন্দন ফোয়ারা। সড়কের দুইপাশে ফুটিয়ে তোলা হবে ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাস। থাকবে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ৩টি স্মৃতিস্তম্ভ। পুরো সড়কপথ ঘিরে রাখবে ৩৫০টি সিসি টিভি ক্যামেরা। থাকবে ফ্রি ওয়াইফাইসহ কিডস প্লে জোন।
এমইএস মোড়ে নতুন একটি ফুটওভারব্রিজ নির্মাণ করা হবে। তৈরি হবে ৬টি নতুন বাস বে। সড়কটিকে সব সময় ধুলাবালিমুক্ত রাখতে ৬ কিলোমিটারে ২টি ডাস্ট ভ্যাকুয়াম মেশিন চালানো হবে। ২৪০ জন নিরাপত্তা রক্ষী দিয়ে সড়কটিতে সার্বক্ষণিক নজর রাখা হবে। তারা ওয়াকিটকি ব্যবহার করবে। পাশাপাশি সাব কন্ট্রোল ও মনিটরিং রুম থেকেও আলাদা আলাদা তত্ত্বাবধান করা হবে বলেও জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭
এসএ/এসআরএস/আরআই