বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
আশুলিয়া থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মতিউর রহমান শরীফ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাসেলকে আটকের পর দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, বুধবার ভোরে মাহবুবের বাসার টিনের চাল খুলে ভেতরে ঢুকে তিনজনকে কুপিয়ে পালিয়ে যায় রাসেল। পরে তাকে ধরতে কয়েকটি দল বিভিন্ন এলাকায় চিরুনি অভিযান চালায়। পরে বুধবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় একটি বাসা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রাসেলকে আটক করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার দুপুরে বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষ করে তাকে আদালতে পাঠালে রাসেল কেয়ারটেকার বাবলুকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। নেশার টাকা যোগার করতে রাসেল ওই বাড়িতে ঢোকেন। এসময় বাধা পেলে কেয়ারটেকারসহ বাড়ির সদস্যদের কুপিয়ে আহত করেন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির বলেন, বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আমরা রাসেলকে ধরতে সক্ষম হয়েছি। সে নেশার টাকা যোগাতেই বাড়িতে ঢুকে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
এর আগে বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ভোরে আশুলিয়ায় কেয়ারটেকার বাবলুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে আশুলিয়ার ডেণ্ডাবর এলাকা থেকে অভিযুক্ত রাসেলকে আটক করা হয়।
** আশুলিয়ায় দুর্বৃত্তের হামলায় নিহত ১
বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭
আরএ