বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কারওয়ান বাজারে মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকে এসব কথা জানান তুহিন মোহাম্মদ।
তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য গাজী গোলাম দস্তগীরের পল্টনের অফিসে প্রবেশ করে মোশারফ হোসেনকে তলপেটে গুলি করে পালিয়ে যায় মাসুদ।
দুই সহযোগী কারা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, কৌশলগত কারণে ওই দুই সহযোগীর নাম বলতে পারছি না। তাদেরকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করি খুব শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
ৠাবের এই কর্মকর্তা জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকার আধিপত্য বিস্তার, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই ঘটনা সে ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালের ৩১ জানুয়ারি মাসুদ একটি পিস্তল, ৮টি রামদাসহ অপর দুই সহযোগী আশরাফুল, মোহাম্মদ আলীসহ ৠাব-১১ কর্তৃক গ্রেফতার হয়। জেলে থাকা অবস্থায় হত্যা মামলার আসামি বাদশার সাথে পরিচয়ের সুবাদে মোহাম্মদপুরের মাদক ব্যবসায়ী রাইফেল আলমগীরের সাথে তার সম্পর্ক তৈরি হয়। রাইফেল আলমগীর অবৈধ অস্ত্র ব্যবসায়ী।
এর আগে র্যাব-৩ অভিযান চালিয়ে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ থানার গোলিয়ার ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাসুদকে আটক করে। তার বাবার নাম মো. শহিদুল্লাহ ভূইয়া
গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য গাজী গোলাম দস্তগীরের অফিসে গুলিবিদ্ধ হয় মোশারফ। এ ঘটনায় মোশারফের বাবা একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে ৠাব ছায়া তদন্তে নামে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই প্রেক্ষিতে মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭
আরএটি/আরআই