বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের পাগলা রসুলপুর এলাকায় ইমরান ও বিল্লাল বাহিনীর মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার কদমতলীর আলোচিত মাদক ব্যবসায়ী ইমরান ও বিল্লাল বাহিনী রসুলপুর এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছিল। স্থানীয় দীন ইসলাম বাহিনী তাদের মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়। গত ক’দিন আগে কদমতলী থানা-পুলিশকে নিয়ে দীন ইসলামের নেতৃত্বে ইমরান ও বিল্লাল বাহিনীর বিরুদ্ধে মাদক বিরোধী মিছিল বের করা হয়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে দীন ইসলাম বাহিনীকে ঘায়েল করার চেষ্টা করে।
এ ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে ইমরান ও বিল্লাল বাহিনীর সঙ্গে দীন ইসলাম বাহিনীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ককটেলের আঘাতে দীন ইসলামসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। এসময় ইমরান ও বিল্লাল বাহিনী ককটেল ফাটিয়ে রসুলপুর এলাকায় তাণ্ডব সৃষ্টি করে। এ সময় দীন ইসলামের বাড়িসহ ৫/৬টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় উত্তর রসুলপুর এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
অভিযোগ রয়েছে, উত্তর রসুলপুর এলাকার কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে শেল্টার দিচ্ছেন দীন ইসলামসহ আরো কয়েকজন। কদমতলীর মাদক ব্যবসায়ী ইমরান ও বিল্লালের বোনের বাড়ি রসুলপুর হওয়ার সুবাদে তারা এলাকায় মাদক ব্যবসা শুরু করে। এতে রসুলপুরের মাদক ব্যবসায়ীরা তাদেরকে বাধা দেয়।
বৃহস্পতিবার রাতে ইমরান-বিল্লাল গ্রুপের লোকজন কদমতলী থেকে এসে রসুলপুরে মাদক বিক্রি করায় তাদের প্রতিপক্ষ দীন ইসলাম গ্রুপ বাধা দিলে সংঘর্ষ বাধে। পরে ইমরান-বিল্লাল গ্রুপের লোকজন এসে ককটেল ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কদমতলী থেকে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর সাথে রসুলপুরের লোকদের পূর্ব বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মূলত মাদক ব্যবসা নিয়েই এ সংঘর্ষ।
মাদক ব্যবসায়ী ইমরান ও বিল্লালের বোন ও ভগ্নিপতিকে আটক করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৭
এমআইএইচ/জেএম