শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ধর্মঘটী মাংস ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি ও ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতি যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
বক্তারা বলেন, ভারত থেকে গরু নিয়ে আসতে বর্ডার এলাকা থেকে শুরু করে ঢাকা পর্যন্ত গরু প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বিভিন্ন রংবাজ, চাঁদাবাজ, সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন দুর্নীবাজ কর্মকর্তাদের পকেটে যাচ্ছে। যদি এসব চাঁদাবাজি বন্ধ করা যায় তাহলে বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৩শ’ টাকার বেশি হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে গাবতলী গরুর হাটের ইজারা বাতিল, হুণ্ডি ব্যবসায়ী ‘কাইল্যা, মইজ্যা’কে আইনের আওতায় আনা, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা, দ্রুত সময়ের মধ্যে হাজারীবাগ ট্যানারি স্থানান্তর করা, বৈধভাবে ভারত, ভুটান, নেপাল, মিয়ানমার থেকে গরু আমদানি করাসহ মোট ১২টি দাবি জানান।
এ সময় বক্তারা আরো বলেন, শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আমাদের ছয়দিনের ধর্মঘট শেষ হবে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি (রোববার) সকাল ১১টায় ও দুপুর ২টায় বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের বৈঠক রয়েছে। সেখানে যদি আমরা আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস পাই তাহলে আর কোনো কর্মসূচি দেওয়া হবে না। আর যদি দাবি পূরণ না হয় পরবর্তীতে মিটিং করে প্রয়োজনে সারা দেশের মাংস ব্যবসা বন্ধ করে দিতেও দ্বিধাবোধ করবো না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ মো. আব্দুল বারেকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মোর্তুজা মন্টু, মহাসচিব রবিউল ইসলাম, ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৭
এমএইচকে/জিপি/বিএস