এদিকে, শ্বশুড়বাড়ির লোকজনের দাবি হামিদার আত্মহত্যা করেছে।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় উপজেলার মৌরাট ইউনিয়নের মালঞ্চী গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে হামিদার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত হামিদার ভাই মিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রতিবেশী হাসান মণ্ডলের ছেলে নয়ন মণ্ডলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে হামিদা। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে দেড় মাস আগে স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিশের মাধ্যমে তাদের বিয়ে দেন। কিন্তু হামিদাকে বাড়ির বউ হিসেবে মেনে নিতে পারেননি নয়নের পরিবারের লোকজন। বিয়ের পর থেকে নয়নও হামিদার সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে থাকে।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকেও আমার বোন স্বাভাবিক হাসিখুশি ছিল। রাত ৩টার দিকে আমরা খবর পাই হামিদা বিষ পান করেছে। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে আমরা তাকে হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে আমরা তার মরদেহ বাড়িতে এনে পুলিশকে খবর দেই। স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকজন আমার বোনকে খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হত্যা করেছে। সে আত্মহত্যা করেনি।
এদিকে, অভিযোগের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করেছেন হামিদার স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকজন। তাদের দাবি হামিদা বিষপানে আত্মহত্যা করেছে।
এ বিষয়ে পাংশা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হামিদা আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৭
আরএ