অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের আওতায় ২০১৬ সালে রাজশাহীর ৩৪টি স্কুলের প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে যারা কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে, গ্রামীণফোনের সহযোগিতায় আজ তাদের পুরস্কৃত করা হয়।
উৎসবে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপমহাদেশের বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক, সরকারের সাবেক সচিব আমিনুল ইসলাম ভূঁইয়া, রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. মনির হোসেন, বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব খায়রুল আলম সবুজ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান সরকার, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের নাটোর শাখার সংগঠক ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক অলক মৈত্র, রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ তাইফুর রহমান, গ্রামীণফোনের রাজশাহী হেড অব সার্কেল মার্কেটিং সোহেল মাহমুদ।
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শরিফ মো. মাসুদ তার স্বাগত বক্তব্যে পুরো বছর জুড়ে বইপড়া কর্মসূচি সফলভাবে পরিচালনায় সহায়তা করায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক, সংগঠক ও পৃষ্ঠপোষকদের ধন্যবাদ জানান। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এই পথ চলা উত্তরোত্তর আরও প্রসারিত হবে এবং আগামী বছর এই বইপড়া কর্মসূচির সদস্য সংখ্যা আরও বাড়বে হবে বলেও এ সময় আশা প্রকাশ করেন তিনি।
কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক পুরস্কারপ্রাপ্ত ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ ভাষাভিত্তিক একটি দেশ। তোমাদের বিভিন্ন দেশের ভাষা, শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি শেখার প্রয়োজন আছে। তোমরা দেশের ভবিষ্যৎ। এটা কথার কথা নয়। এটা বাস্তব। দেশকে সঠিক সংস্কৃতির জায়গায় নিয়ে যাওয়া তোমাদের দায়িত্ব। এই দিনটা তোমাদের সেই নতুন জীবনের ডাক দিয়েছে’।
তিনি বলেন, এই বয়সে বহু রকমের পথের হাতছানি দেবে। কিন্তু মানবিকতার প্রকাশ যেন ঘটে, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে। বই সবসময়ই মানবিকতার কথা বলে। আমরা সবাই যদি মানবিক হই, দেখবো, বাংলাদেশ একদিন পরিবর্তন হয়ে গেছে। আমার বিশ্বাস তোমরা তা পারবে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৭
এসএস/আরআই