শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ধর্মঘটী মাংস ব্যবসায়ীরা।
তারা বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হকের সঙ্গে রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আমাদের বৈঠক রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে গাবতলী গরুর হাটের ইজারা বাতিল, হুণ্ডি ব্যবসায়ী ‘কাইল্যা, মইজ্যা’কে আইনের আওতায় আনা, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা, দ্রুত সময়ের মধ্যে হাজারীবাগ ট্যানারি স্থানান্তর করা, বৈধভাবে ভারত, ভুটান, নেপাল, মায়ানমার থেকে গরু আমদানি করাসহ মোট ১২টি দাবি জানানো হয়।
সমিতির নেতারা বলেন, ভারত থেকে ঢাকায় গরু নিয়ে আসতে গরু প্রতি ২০/৩০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে। তাই বাজারে মাংসের দাম প্রতিনিয়তই বাড়ছে।
বক্তারা বলেন, ভারত থেকে গরু নিয়ে আসতে বর্ডার এলাকা থেকে শুরু করে ঢাকা পর্যন্ত গরু প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা বিভিন্ন রংবাজ, চাঁদাবাজ, সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন দুর্নীবাজ কর্মকর্তাদের পকেটে যাচ্ছে। যদি এসব চাঁদাবাজি বন্ধ করা যায় তাহলে বাজারে গরুর মাংস কেজি প্রতি ৩শ’ টাকার বেশি হবে না।
এ সময় বক্তারা আরো বলেন, শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আমাদের ছয়দিনের ধর্মঘট শেষ হবে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি (রোববার) সকাল ১১টায় ও দুপুর ২টায় বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের বৈঠক রয়েছে।
বৈঠকে যদি আমরা আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস পাই তাহলে আর কোনো কর্মসূচি দেওয়া হবে না। আর যদি দাবি পূরণ না হয় পরবর্তীতে মিটিং করে প্রয়োজনে সারা দেশের মাংস ব্যবসা বন্ধ করে দিতেও দ্বিধাবোধ করবো না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ মো. আব্দুল বারেকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মোর্তুজা মন্টু, মহাসচিব রবিউল ইসলাম, ঢাকা মেট্রোপলিটন মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ প্রমুখ।
**প্রতি গরুতে চাঁদাবাজি হচ্ছে ৩০ হাজার টাকা!
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৭
এমএইচকে/বিএস