শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ তাদের বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে যৌথভাবে হস্তান্তর করে।
পরে বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি তাদের পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য পুলিশের কাছ থেকে গ্রহণ করেছে।
ফেরত আসা কিশোরীরা হলো- নড়াইলের রিমা শেখ (১৭), কুমিল্লার দিপিকা রানী (১৬), ঝিনাদাহের ফেরদৌছ আরেফিন (১৭) ও বাগেরহাটের আসমা হালদার (১৭)।
বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতির যশোর শাখার কর্মকর্তা এবিএম মুহিত হোসেন বাংলানিউজকে জানান, দালাল চক্র তাদের ভালো কাজের লোভ দেখিয়ে সীমান্ত পথে ভারতে নিয়ে যায়। পরে ভারতীয় পুলিশ পাচারের খবর পেয়ে তাদের কলকাতা রেল স্টেশন থেকে উদ্ধার করে আদালতে সোপর্দ করে।
পরে সংলাপ নামে একটি এনজিও সংস্থা তাদের ছাড়িয়ে নিজেদের কাছে রাখে। পরবর্তীতে দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আইনে দুই বছর পর তাদের দেশে ফেরত আনা হয়।
তারা যদি পাচারকারীদের শনাক্ত করে মামলা করতে চায় তাহলে তাদের আইনি সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন চার কিশোরীকে দেশে ফেরত আনার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৬ ঘণ্টা, ১৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭
এজেডএইচ/এজি/আরএ