শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার নয়ালাভাঙা, ঘোড়াপাখিয়া, দূলর্ভপুর, উজিরপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে- দূলর্ভপুর ইউনিয়নের বালুটুঙ্গি গ্রামের আবদুল বাসেদের স্ত্রী ও কনে জেলির মা আরিফা বেগমকে সাতদিন, একই গ্রামের মৃত মনজুর রহমানের ছেলে ও কনে আয়েশা খাতুনের চাচা রোজবুলকে এক মাস, একই গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে ও কনে জেলির চাচাতো ভাই মিলন, নয়ালাভাঙা ইউনিয়নের হাজিপাড়ার মুকুলের স্ত্রী ও কনে মুসলেমার মা নাসরিন বেগমকে সাতদিন, পশ্চিম চন্ডিপুরের সাজেমানের ছেলে ও বর আবদুল মোতালেবকে এক মাস, সরকারের মোড়ের মৃত আত্তাব উদ্দিনের ছেলে ও কনে রিয়ার বাবা হাবিব আলীকে সাতদিন, ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের ভাগ্যবানপুরের জালাল উদ্দিনের ছেলে ও কনে শিউলির ভগ্নিপতি শরিফ উদ্দিনের পনের দিন, শরিফ উদ্দিনের স্ত্রী কনের ভাবি উল্লাসী খাতুনকে সাতদিন, পার ধুমিহায়াতপুরের আবদুল মালেকের স্ত্রী ও বরের মা মোসা. কমেলা বেগমকে সাতদিন, উজিরপুর ইউনিয়নের উত্তর উজিরপুর গ্রামের ডা. রোজদুলের স্ত্রী কনের মা ফাতেমা বেগমকে সাতদিন, বাবুপুর গ্রামের মো. পারুলের ছেলে সাহারুলকে পনের দিনের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অপরদিকে, বাল্যবিয়ের দায়ে চারজনকে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরা হলেন- দূলর্ভপুর ইউনিয়নের দোভাগী গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে বরের ভাই রোজদুল হক, স্ত্রী মোসা. ইতি খাতুন, নামোজগনাথপুরের কনে রোজি খাতুন ও বাবা মিজানুর রহমান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ৬টি বাল্যবিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এরকম সংবাদের ভিত্তিতে শিবগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই শহীদ, ওসমান ও রবিউলের নেতৃত্বে পুলিশের দু’টি টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়।
উপজেলায় বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৭
আরএ