আর যতোদিন পর্যন্ত তাদের স্থায়ীভাবে ব্যবস্থা না করে দেওয়া হবে ততোদিন দুশ্চিন্তার মধ্য দিয়েই দিন কাটাতে হবে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মার্কেটের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদের জন্য বাঁশ ও ত্রিপল দিয়ে সর্বমোট ৩শ’টি অস্থায়ী দোকান তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ডিএনসিসি মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, ৩শ’টি দোকানের মধ্যে প্রায় একশ’টি দোকানে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলোতে এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ না দেওয়ায় ব্যবসা শুরু করতে পারেন নি মালিকরা।
তবে দোকান মালিকরা বলছেন, আগামী রোববারের (১৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যেই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ শেষ হবে। বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ শেষ হলেই তারাও এসব দোকানে কেনাবেচা শুরু করতে পারবেন।
অস্থায়ী মার্কেটের কেনাবেচার বিষয়ে দোকান মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ডিএনসিসির উদ্যোগে অস্থায়ীভাবে মার্কেট খোলায় তারা অনেক খুশি। তবে ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন।
এছাড়া মার্কেটের দোকানগুলো ছোট হওয়ায় জায়গা সংকুলানের কারণে তারা ঠিকভাবে মালামাল রাখতে পারছেন না। ফলে ক্রেতারা কাঙ্ক্ষিত পণ্য না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। তাছাড়া প্রতিদিন মালামাল টানাটানি করতেও তাদের (দোকান মালিক) অনেক সমস্যা হচ্ছে।
তারা বলছেন, আগে যেখানে প্রতিদিন গড়ে লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করতেন সেখানে এখন তা নেমেছে ১০-১৫ হাজার টাকায়।
অস্থায়ী মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. ফারুক বাংলানিউজকে বলেন, এখন কোনোভাবে কেনাবেচা করতে পারলেই চলে। । তবে এভাবে আমরা বেশিদিন ব্যবসা করতে পারবো না। আগে যেখানে প্রতিদিন ৭০-৮০ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি হতো, এখন তা ১০-১২ হাজার টাকায় ঠেকেছে।
মার্কেটের কসমেটিক্স পণ্যের ব্যবসায়ী মো. সুমন তালুকদার বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের যে পর্যন্ত স্থায়ীভাবে নতুন মার্কেট না করে দেওয়া হবে, সে পর্যন্ত এভাবে আমরা ব্যবসা করতে পারবো কি-না তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। এখন ক্রেতা আসলেও তা সংখ্যায় অনেক কম। ক্রেতার সংখ্যা এমন হলে মার্কেট টিকে থাকবে না।
আরেক ব্যবসায়ী মো. সুমন শেখ বাংলানিউজকে বলেন, অস্থায়ী মার্কেটের ছাদ তৈরি করা হয়েছে ত্রিপল দিয়ে। কিছুদিন পর যখন গরম পড়তে শুরু করবে তখন ত্রিপলের মধ্যে প্রচণ্ড তাপ অনুভব হবে। সে সময় গরমের কারণে অনেক ক্রেতাই এখানে আসবেন না। তাছাড়া বৃষ্টি হলেও এখানে কেনাবেচা বন্ধ থাকবে।
তাই ব্যবসায়ীদের দাবি, মার্কেটটি টিকিয়ে রাখতে হলে দ্রুত স্থায়ী মার্কেট নির্মাণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে সরকারকে। তাতে বাঁচবে আমাদের জীবন।
গত ৩ জানুয়ারি (সোমবার) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে ডিএনসিসি মার্কেটে আগুন লাগে। এতে মার্কেটের একাংশ ধসে যায়, ক্ষতিগ্রস্ত জন কয়েকশ’ ব্যবসায়ী।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৭
এমএ/জেডএস