৪ দিনব্যাপী এ ওরস শরিফে মুসলিম-হিন্দুসহ বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী কয়েক লাখ মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে বিশ্ব জাকের মঞ্জিল, সেজেছে বাহারি সাজে।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলেও শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পবিত্র জুম্মার নামাজের মধ্য দিয়ে সূচনা ঘটে এ মহা মিলনমেলার।
মহা মিলনমেলার চারদিনে ওয়াক্তিয়া নামাজের সঙ্গে নফল ইবাদত বন্দেগি, তেলাওয়াতে কালামে পাক, জেকের আসকার, দফায় দফায় মিলাদ মাহফিল ও বিশেষ মুনাজাত, মেরাকাবা মোশাহেদা এবং দয়াল নবী রাসূলে পাক (সা.), বিশ্বওলি ও ওলি-আউলিয়াদের আদর্শ মাহাত্ম্য আলোকপাত করে ওয়াজ নসিহত অনুষ্ঠিত হবে।
আর পরম স্রষ্ঠার অনুগ্রহ ও তার প্রিয় হাবিবের নেঘাবাণীর আকুতিতে রাত ৩টা থেকে ফজরের আযানের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত রোনাজারি চলছে পরম করুনাময়ের দরবারে।
বিশ্বের অন্যতম সুবৃহৎ এ মহা মিলনমেলা ঘিরে নজরকাড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।
২০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে ফ্ল্যাড লাইট সম্বলিত শতাধিক ওয়াচ টাওয়ার এবং সঙ্গে পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তা পোস্ট নির্মাণ করা হয়েছে। ৫ শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা, আর্চওয়ে গেট এবং অসংখ্য হ্যান্ডহেল্ড মেটাল ডিটেক্টর সহযোগে কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার কাজে সর্বাত্মক সহায়তা দিচ্ছেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রবেশ পথে সার্বক্ষণিক টহল, নদীপথে নিরাপত্তা নজরদারিসহ আনুষঙ্গিক নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বিশ্বওলির আধ্যাত্মিক প্রতিনিধি পীরজাদা আলহাজ খাজা মাহফুযুল হক মুজাদ্দেদী ও পীরজাদা আলহাজ খাজা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদী সমবেতদের দফায় দফায় সাক্ষাৎ ও বিশেষ নসিহত দান করবেন।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দেশ ও মুসলিম ওম্মাহ’র শান্তি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এ মিলনমেলা ভাঙবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৭
আরকেবি/এএসআর