ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

কুড়িগ্রামে ২য় ধরলা সেতুর কাজ পরিদর্শনে এলজিআরডি মন্ত্রী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৭
কুড়িগ্রামে ২য় ধরলা সেতুর কাজ পরিদর্শনে এলজিআরডি মন্ত্রী কুড়িগ্রামে ২য় ধরলা সেতুর কাজ পরিদর্শনে এলজিআরডি মন্ত্রী

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে ৯৫০ মিটার দীর্ঘ দ্বিতীয় ধরলা সেতুর নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপি। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ১৯২ কোটি টাকা।

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সেতুর কাজ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের জন্ম রাজপথে এবং আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। কাজেই আওয়ামী লীগকে আন্দোলনের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।

বিএনপির আন্দোলনে লোক নেই। তাদের বলবো, মানুষ হত্যার রাজনীতি বন্ধ করুন। আন্দোলন করতে না পারলে আমাদের বলুন, আমরা লোকজন দেই।

তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে ভোটের মাধ্যমে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হতে পারে, অন্য কোনো পন্থায় নয়।

নির্বাচনের সময় অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রস্তাবনা প্রত্যাখ্যান করে মন্ত্রী বলেন-সংবিধানে এরকম কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই।

কুড়িগ্রামে দ্বিতীয় ধরলা সেতুর কাজ পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে ছিলেন- কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী, লালমনিরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আতাউর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী শ্যামা প্রসাদ অধিকারী, রংপুর বিভাগীয় অতিরিক্ত প্রকৌশলী আজিজুর রহমান, ফুলবাড়ী নির্বাহী কর্মকর্তা দেবেন্দ্র নাথ উঁরাও, ধরলা সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল্লা হাফিজ, বিলুপ্ত ছিটমহল বিষয়ক প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল হক, কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন, প্রকৌশলী শামসুল আরেফিন খান প্রমুখ।

কুড়িগ্রাম এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রুহুল আমিন বাংলানিউজকে জানান, ধরলা নদীর ওপর দ্বিতীয় ধরলা সেতুটি কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে। সেতুটির ৯৫০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণ কাজের জন্য বর্তমান সরকার বরাদ্দ করেছে প্রায় ১৯২ কোটি টাকা। কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে ধরলা নদীর ওপর নির্মাণাধীন দ্বিতীয় ধরলা সেতুর কাজের অগ্রগতি ৬২ ভাগ। ২০১৩ সালের মে মাসে কাজ শুরু হয়েছে। ২০১৬ সালের জুলাইয়ে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সময় বাড়িয়ে চলতি বছরের মধ্যে কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। এই সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার আট লক্ষাধিক মানুষ সুফল পাবেন।

কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাফর আলী বাংলানিউজকে জানান, বঙ্গসোনাহাট স্থলবন্দর হয়ে ফুলবাড়ীর দ্বিতীয় ধরলা সেতু দিয়ে ভারতের আসাম রাজ্যসহ অন্যান্য পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতের পণ্য পরিবহন ব্যয় বহুলাংশে কমে আসবে। যুগান্তকারী অগ্রগতি ঘটবে বাংলাদেশসহ ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সেভেন সিস্টারস খ্যাত সাতটি রাজ্য আসাম, মেঘালয়, মিজোরাম, মনিপুর, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা ও অরুনাচলের। একই সঙ্গে এসব রাজ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংরাবান্ধা হয়ে কলকাতায় যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৭
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।