ঢাকা, শনিবার, ৪ মাঘ ১৪৩১, ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মগবাজার-মোহাম্মদপুরে স্মার্টকার্ড বিতরণ রোববার থেকে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৭
মগবাজার-মোহাম্মদপুরে স্মার্টকার্ড বিতরণ রোববার থেকে

ঢাকা: রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে রাজধানীর মগবাজার, মোহাম্মদপুরসহ বেশ ক’টি এলাকায় শুরু হচ্ছে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড বিতরণ।

ঢাকার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহ আলম শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) জানিয়েছেন, পঞ্চম ধাপের এ কার্যক্রমের মধ্য দিয়েই প্রায় শেষ হয়ে আসছে ঢাকায় স্মার্টকার্ড বিতরণ। নির্ধারিত সময়ে যারা কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন না- পরবর্তীতে তাদের সংশ্লিষ্ট থানা নির্বাচন কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করতে হবে।



পঞ্চম ধাপের এ কার্যক্রমে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৬, ১৭, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৩৫ ও ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের কার্ড বিতরণ করা হবে। আর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৮, ৫০, ৫১, ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটাররা কার্ড পাবেন।

এসব ওয়ার্ডগুলোর ভোটাররা মোবাইলে এসএমএস করে জানতে পারবেন কোন দিন, কোন কেন্দ্রে স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SC স্পেস NID স্পেস ১৭ সংখ্যার এনআইডি নম্বর লিখতে হবে। এরপর ১০৫ নম্বরে পাঠিয়ে দিলেই ফিরতি এসএমএস-এ জানা যাবে স্মার্টকার্ড বিতরণের তারিখ ও কেন্দ্রের নাম। যাদের এনআইডি নম্বর ১৩ সংখ্যার তাদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম, কেবল এনআইডি নম্বরের আগে জন্মসাল জুড়ে দিতে হবে।  যারা ভোটার হয়েছেন কিন্তু এখনো জাতীয় পরিচয়পত্র পাননি তারা মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে SC লিখে স্পেস দিয়ে F লিখে ফের স্পেস দিয়ে লিখবেন নিবন্ধন স্লিপের নম্বর, স্পেস দিয়ে D লিখে yyyy-mm-dd ফরমেটে জন্ম তারিখ লিখে ১০৫ নম্বরে পাঠাবেন।

এ ছাড়া ১০৫ নম্বরে কল করেও স্মার্টকার্ড বিতরণ সংক্রান্ত তথ্য জানা যাবে।

পুরনো এনআইডি ক‍ার্ড হারিয়ে গেলে:
যারা পুরনো এনআইডি হারিয়ে ফেলেছেন, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি করে যে কোনো সোনালী ব্যাংক বা ডাচ বাংলা ব্যাংকের ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে নির্ধারিত ফি (সাধারণ ক্ষেত্রে ২৫৩ টাকা) দিয়ে সংশ্লিষ্ট থানা বা উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে অথবা জরুরি হলে ৩৬৮ টাকা জমা দিয়ে ইসলামী ফাউন্ডেশন ভবনে স্থাপিত এনআইডি শাখা থেকে পরিচয়পত্র সংগ্রহ করতে হবে। এরপর তা নিয়ে নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে সংগ্রহ করতে হবে স্মার্টকার্ড।

নিবন্ধন স্লিপ হারিয়ে গেলে:
ভোটার হওয়ার সময় দেওয়া ভোটার স্লিপ যারা হারিয়ে ফেলেছেন, তাদেরও সংশ্লিষ্ট থানায় জিডি করতে হবে। এরপর সংশ্লিষ্ট থানা বা উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে অথবা নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে এনআইডি নম্বর সংগ্রহ করতে হবে। এরপর জিডির কপির সঙ্গে তা নিয়ে স্মার্টকার্ড বিতরণে কেন্দ্রে যেতে হবে।

যারা ভোটার হয়েছেন কিন্তু এনআইডি কার্ড পাননি:
যারা ভোটার হয়েছেন কিন্তু এনআইডি কার্ড পাননি এমন ব্যক্তিরা ভোটার নিবন্ধন স্লিপ নিয়ে স্মার্টকার্ড বিতরণ কেন্দ্রে গেলেই পেয়ে যাবেন জাতীয় পরিচয়পত্র।

২০১৬ সালের ২ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এর পরদিন ঢাকার রমনা ও উত্তর‍া এবং কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে কার্ড বিতরণে যায় সংস্থাটি।

ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঢাকায় স্মার্টকার্ড বিতরণ শেষে প্রথমে বিভাগীয় শহরে এরপর জেলায় এবং সবশেষে উপজেলা, ইউনিয়ন পর্যায়ে স্মার্টকার্ড দেওয়া হবে।

ফ্রান্সের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অবার্থার টেকনোলজিস নামে একটি কোম্পানির সঙ্গে ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারি ১৮ মাসের মধ্যে ৯০ মিলিয়ন স্মার্টকার্ড প্রস্তুত করে দেওয়ার চুক্তি করে নির্বাচন কমিশন। ২০১৬ সালের জুনেই যার মেয়াদ শেষ হয়েছে। চার মাস কারিগরি কারণে উ‍ৎপাদন বন্ধ থাকায় স্মার্টকার্ড ছাপানোর কাজ শেষ করতে বিলম্ব হয়। ওই কোম্পানি ৯ কোটি ভোটারের স্মার্টকার্ড তৈরি করে দিলেও দেশে বর্তমানে ভোটার রয়েছে ১০ কোটির বেশি। তাদের ‌উন্নতমানের এ কার্ড সরবরাহে নতুন তহবিল সংগ্রহ করছে সংস্থাটি।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৭
ইইউডি/এটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।