রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় শহীদ মিনারের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন ডি এমপি কমিশনার।
তিনি জানান, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, জাতীয় সংসদের স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, কূটনীতিক কোরের সদস্যরা দোয়েল মৎস্যভবন হয়ে দোয়েল চত্বর দিয়ে শহীদ মিনারের পথে যাবেন।
গতবছর শহীদ মিনারে ঢুকতে দোয়েল চত্বরে একটি রাজনৈতিক দলের সদস্যরা বিশৃংখলা সৃষ্টি করে এবং পরে জুতো পায়ে শহীদ বেদীতে উঠে পড়ে, সে কথা স্মরণ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, এ বছর যাতে তেমন কোনও পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ ভিভিআইপিরা শহীদ মিনারে তাদের শ্রদ্ধানিবেদনের পর চলে গেলেই পলাশীর পথ খুলে দেওয়া হবে। তার আগে এই পথ আটকে রাখা হবে। এ অবস্থায় আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি সব ধরনের সহযোগিতা দিতে সকল রাজনৈতিক দল ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আসাদুজ্জামান মিঞা বলেন, এ বছর কেউ যাতে শহীদ বেদীতে জুতো পায়ে উঠে পড়তে না পারে সে জন্য সব ধরনের সতর্ক তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রাণের এই উৎসবে কেউ যাতে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে না পারে, সব পর্যায়ের মানুষ যাতে ভাষার শহীদদের প্রতি তাদের শ্রদ্ধা জানাতে পারেন সে জন্য সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। দফায় দফায় সমন্বয় সভা করা হয়েছে আর তার ভিত্তিতেই এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
সকলের সহযোগিতায় এই উৎসব সুসম্পন্ন হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময় ১১৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
এমএমকে