রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) গাবতলী গরুর হাটের ইজারাদার ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে এ তথ্য জানা যায়।
ইজারাদার ও ব্যবসায়ীরা বলেন, বিভিন্ন অভিযোগ তুলে রাজধানী জুড়ে ছয়দিন মাংস বিক্রি বন্ধ রাখেন সমিতির মহাসচিব ও সভাপতি।
ব্যবসায়ী ও ইজারাদাররা অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতির মহাসচিব ও সভাপতির ইজারাদারদের সঙ্গে ব্যক্তিগত রেষারেষির কারণে তারা ধর্মঘটের ডাক দেন। অথচ এই দুই নেতার রাজধানীতে কোনো মাংসের দোকান নেই। তাছাড়া অনেক মাংস ব্যবসায়ী টাকা বাকি রেখে গাবতলী থেকে গরু নিয়ে গেছে। এখন ধর্মঘট ডেকে একটি বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে।
গরু ব্যাপারী শহীদুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, সমিতির এই দুই নেতার রাজধানীতে মাংসের দোকান নেই। আমার যতটুক জানি রবিউলের গাবতলীর গরুর হাটের পশ্চিম পাশে একটি টিন ও লোহার দোকান রয়েছে।
মাংস ব্যবসায়ীরা বাকি টাকা না দেওয়ার জন্য পায়তারা করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু আমার কাছ থেকেই মাংস ব্যবসায়ীরা ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকার গরু বাকি নিয়েছে। এমনভাবে প্রতিটি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তারা টাকা বাকি রেখে গরু নিয়ে রেখেছে। এখন তারা এই টাকা না দেওয়ার জন্য ধর্মঘট করছে।
আরেক ব্যাপারী মো. নাসির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, চাঁদাবাজি হাট কর্তৃপক্ষ করছে না, করছে মাংস ব্যবসায়ীরা। তারা লাখ লাখ টাকা বাকি নিয়ে এখন টাকা না দেওয়ার জন্য এসব করছে। আর তাদের দুই নেতা তো মাংস ব্যবসায়ীই নন।
গাবতলীর গরুর হাটে কোনো ধরনের অতিরিক্ত ইজারা বা চাঁদা নেওয়া হয় না বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন হাটের ইজারা কর্মকর্তা মো. সোহেল।
সোহেল বলেন, আমরা বেশি ইজারা বা চাঁদা নেই কিনা তা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জিজ্ঞেস করলেই বুঝতে পারবেন। কিন্তু এর আগে রবিউল ও মন্টুকে জিজ্ঞেস করেন তারা মাংস ব্যবসায়ী কি না? রবিউলকে বলেন তার দোকানের জন্য কেনা যে কোনো একটি গরুর ইজারা রশিদ দেখাতে। সে কোনো দিন দেখাতে পারবে না।
তবে ব্যবসায়ী ও ইজারাদারদের এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন রবিউল।
রবিউল বলেন, নিজেদের অপরাধ ঢাকার জন্য তারা এখন আমাদের বিরুদ্ধে এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। আমার রাজধানীতে ছয়টি মাংসের দোকান রয়েছে।
তবে রবিউল ছয়টি দোকানের কথা বললেও একটিমাত্র দোকানের ঠিকানা দিয়েছেন বাংলানিউজকে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৭
এমএ/পিএম/আরআর/বিএস