সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে চাঁন সওদাগরের হাতে একটি ব্রেইল মেশিন তুলে দেন জাকির।
সহযোগিতা পেয়ে দারুণ খুশি চাঁন সওদাগর।
চাঁন সওদাগরের হাতে ব্রেইল মেশিন তুলে দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাজমুল হক, রাজীব আহমেদ প্রমুখ।
চোখ নিয়ে জন্ম নেন চাঁন সওদাগর। কিন্তু ৪ বছর বয়সে গুটি বসন্তে তার দু’টি চোখেরই দৃষ্টি হারিয়ে যায়। এলাকায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী কোরআনের হাফেজ চাঁন সওদাগরকে কমবেশি সবাই চেনেন। সেই অন্ধ হাফেজ একটি ব্রেইল মেশিনের অভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন।
স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় তার বাবা মুনছুর আলী পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নৃশংসভাবে নিহত হন। ১৯৭৪ সালে দুর্ভিক্ষে মা মারা যান। মা-বাবা হারিয়ে অন্ধ-এতিম শিশু চাঁন সওদাগর দুনিয়াতে অসহায় হয়ে পড়েন। হঠাৎ একদিন এক ইংরেজ নারীর নজরে পড়েন তিনি। ইংরেজ নারী সদয় হন তার প্রতি। তাকে ঢাকায় নিয়ে একটি অন্ধ বিদ্যালয়ে ভর্তি করান। সেখানে তিনি দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হন। এর পাশাপাশি তিনি অন্ধ বিদ্যালয়ে ব্রেইল পদ্ধতিতে পুস্তক লেখার প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
পরে তিনি কিছু হৃদয়বান ব্যক্তির আর্থিক অনুদানের সহযোগিতায় একটি ব্রেইল মেশিন ক্রয় করেন। ওই ব্রেইল দিয়ে তিনি অন্ধদের জন্য কোরআন-হাদিস ও অন্যান্য পাঠ্য বই লিখে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকেন। তার ব্রেইল মেশিনটি দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে বর্তমানে সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে পড়েছে এবং তার আয়-রোজগারের পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
এ অবস্থায় বাংলানিউজে চাঁন সওদাগরের সহযোগিতার জন্য সংবাদ প্রকাশ হলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তার হাত বাড়িয়ে দেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭
এসটি/এইচএ/