ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

বিদ্যালয়ের ভাঙা বেঞ্চ দিয়ে প্রাণের শহীদ মিনার

অপু দত্ত, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭
বিদ্যালয়ের ভাঙা বেঞ্চ দিয়ে প্রাণের শহীদ মিনার বিদ্যালয়ের ভাঙা বেঞ্চ দিয়ে প্রাণের শহীদ মিনার

খাগড়াছড়ি: ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে। কিন্তু বিদ্যালয়ে নেই কোনো স্থায়ী শহীদ মিনার। তাই তো পরিত্যক্ত ভাঙা বেঞ্চ দিয়ে অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করা হয়েছে প্রাণের শহীদ মিনার।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মিলে সেই শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এর আগে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে প্রভাত ফেরি হয়।

কথা হচ্ছিল খাগড়াছড়ির নয় মাইল ত্রিপুরা পাড়া নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের। স্থায়ী শহীদ মিনার না থাকলেও ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের এই আয়োজনে শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, উৎসাহ, উদ্দীপনার কোনো কিছুর অভাব নেই।

খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের নয় মাইল নামক এলাকায় বিদ্যালয়টির অবস্থান। ২১ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) সকালে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভাঙা বেঞ্চ দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে শহীদ মিনারের তিনটি স্তম্ভ। সেটিকে কালো কাপড়ে ঢেকে তিন স্তম্ভের মাঝ বরাবর কাগজের লাল বৃত্ত দিয়ে তৈরি করা হয় শহীদ মিনার।

কথা হয় বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী জনি ত্রিপুরা, রিপন ত্রিপুরার সঙ্গে। বিদ্যালয়ের ভাঙা বেঞ্চ দিয়ে প্রাণের শহীদ মিনার

তারা জানায়, বিদ্যালয়ে স্থায়ী কোনো শহীদ মিনার নেই। তাই স্যারদের সহযোগিতায় তারা কাঠ, বাঁশ দিয়ে প্রতি বছর শহীদ মিনার তৈরি করে সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নয়ন মনি ত্রিপুরা বলেন, ২০১১ সালে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ২০১২ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু হয়। এখানে জায়গা থাকলেও নেই কোনো শহীদ মিনার। তাই প্রতি বছর অস্থায়ী শহীদ মিনারে আমরা ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের স্মরণ করি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পূর্ণিমা বড়ুয়া বলেন, বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে মোট ৯৩ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। বিদ্যালয়ের পুরো অর্থ অনুদান নির্ভর। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষের পাঠানো অনুদান দিয়ে কোনো রকমে চলে। সেখানে আমাদের স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা অসম্ভব। তাই অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে প্রতি বছর ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিদেবন করা হয়।

এ বিদ্যালয়ে একটি স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের জন্য সামর্থ্যবানদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।