মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে সদর, মণিরামপুর ও কেশবপুরে উপজেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে এমনটিই চোখে পড়ে।
মণিরামপুরের শহেলাহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ভাষা সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে শত শত শিক্ষার্থী ফুলের মালা হাতে নিয়ে স্কুল মাঠে আসতে শুরু করে।
বিদ্যালয়ের ছাত্র আরিফ, কবির, সুজনসহ অনেকেই বাংলানিউজকে বলেন, বাবা-মা ও শিক্ষকদের কাছ থেকে জেনেছি বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার আন্দোলনে শহীদ হন রফিক, সালাম, বরকত, জব্বারসহ নাম না জানা অনেকে। তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তবুও কোনো কিছুর বিনিময়ে ভাষা সৈনিকদের ঋণ শোধ করা সম্ভব নয়।
এসময় প্রত্যেক বিদ্যালয়ে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করার দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।
কোমরপোল গ্রামের ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালক শাহাবুদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, আমার মেয়ে মিম পার্শ্ববর্তী কড়িয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই মেয়ের বায়না বাজার থেকে ফুল ও শাড়ি কিনে দিতে হবে। দরিদ্র হলেও ভাষা শহীদদের প্রতি মেয়ের শ্রদ্ধা ও ভক্তি দেখে খুশি হয়ে তার ইচ্ছা পূরণ করেছি। তবে স্কুলে শহীদ মিনার না থাকায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, সকালে মেয়ের স্কুলে গিয়ে দেখি, শত শত শিশু ছেলে-মেয়ে সাজ-সজ্জা সহকারে ফুল নিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে স্কুলে এসেছে। সেসময় শিক্ষকরা কলাগাছ দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানোর ব্যবস্থা করেন। তিনি প্রত্যেক বিদ্যালয়ে সরকারিভাবে শহীদ মিনার তৈরির দাবি জানান।
কেশবপুরের বেগমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দেখা যায়, সকালে শত শত ক্ষুধে শিক্ষার্থী শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে স্কুল মাঠে এসেছে। তবে শহীদ মিনার না থাকায় এই বিদ্যালয়েও বেঞ্চি দিয়ে অস্থায়ী শহীদ মিনার তৈরি করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানায় তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭
ইউজে/আরএ