একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ হাদিস পার্কের শহীদ মিনারে খুলনা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, তালুকদার আব্দুল খালেক এমপি, এস এম মোস্তফা রশিদী সুজা এমপি, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসন, রেঞ্জ ডিআইজি ও কেএমপি কমিশনার, সিটি কর্পোরেশন, চেম্বার অব কমার্স, খুলনা প্রেসক্লাবসহ পেশাজীবী সংগঠন এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য সংগঠনের নেতারা পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়িত্বশাষিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।
ভোর থেকেই প্রভাতফেরী সহযোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অন্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে।
সকালে নগরভবনে সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।
বাদ জোহর কালেক্টরেট জামে মসজিদসহ সব মসজিদে শহীদদের রূহের মাগফিরাত ও দেশের কল্যাণ, শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়া মন্দির, গির্জা ও অন্য উপাসনালয়ে অনুরূপ বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
বিকেলে এ উপলক্ষে বয়রাস্থ বিভাগীয় গণগ্রন্থাগার চত্বরে খুলনা জেলা প্রশাসন অয়োজিত আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ। খুলনা জেলা প্রশাসক নাজমুল আহসান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে আলোচনা সভা, শিক্ষক সমাবেশ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনে রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। শহীদ হাদিস পার্ক এবং জাতিসংঘ পার্কে সন্ধ্যায় খুলনা জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে স্থানীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। বাংলাদেশ বেতার খুলনা দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করে।
জেলার সব উপজেলা গুলোতে দিবসটি উপলক্ষে কর্মসূচি পালিত হয়।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়। এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৬টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলনের পর উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফয়েক উজ্জামানের নেতৃত্বে প্রভাতফেরী কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পৌঁছায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সেখানে উপাচার্য শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
এ সময় ট্রেজারার, বিভিন্ন স্কুলের ডিন, পরিচালক, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত), ডিসিপ্লিন প্রধান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক, প্রভোস্টরা উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা প্রেস ক্লাবে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়। ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুবীর কুমার রায়ের পরিচালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের সভাপতি এস এম হাবিব।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনা, খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭
এমআরএম/আরআইএস/