মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার চর রলেন্স ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মোস্তাফা কোম্পানী বাড়ির সুরু একটি আম গাছের সঙ্গে চিকন রশিতে বাঁধা বসা অবস্থায় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এদিকে দুপুরে ময়নাতদন্ত ছাড়াই করইতলা বাজার সংলগ্ন আলী খলিফা মিয়ার পারিবারিক কবরস্থানে স্থানীয় চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে তাকে দাফন করা হয়।
ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করায় এলাকাবাসীর ধারণা, একটি মহল হত্যাকে ধামাচাপা দিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করেছে।
নিহত হাজেরার নাম ছাড়া বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। কিছুদিন আগে তিনি ওই এলাকার মৃত মোস্তাফা কোম্পানীর স্ত্রী রহিমা সুলতানার বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে আশ্রয় নেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বসতঘরের দক্ষিণ পাশে টিউবওয়েল পাশে ছোট একটি আমের চারার সঙ্গে তার মরদেহ বাঁধা রয়েছে। এমন পরিস্থিতি দেখে স্থানীয়রা আত্মহত্যা মানতে রাজি নয়।
আশ্রয়দাতা রহিমা সুলতানা জানান, ১৮/২০ দিন আগে কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন হাজেরা বেগম নামে ওই নারী তার বাড়িতে আসেন। এর পর তিনি তার বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে তাকে থাকতে দেন। বাড়ির আশপাশের লোকজন তাকে সাহায্য করতো। মঙ্গলবার সকালে টিউবওয়েলের সিঁড়িতে তার মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
চর লরেন্স ইউনিয়নে চেয়ারম্যান একেএম নুরুল আমিন মাস্টার বলেন, বিষয়টি আত্মহত্যা মনে হয়েছে। তার আত্মীয়-স্বজন কিংবা পরিচিত কাউকে পাওয়া যায়নি তাই পুলিশের অনুমতি নিয়ে স্থানীয়া মরদেহ দাফন করেছে।
কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) আলমগীর হোসেন বলেন, প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৭
আরএ