বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গাইবান্ধা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিং-এ তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এমপি লিটন হত্যাকাণ্ডের জন্য কিলারদের ভাড়া করেছিলেন ডা. কাদের খাঁন।
এ হত্যাকাণ্ড পরিচালনার জন্য ডা. কাদের খাঁন ৪ জন কিলারকে দীর্ঘদিন ধরে লালন পালন করে আসছেন। তারা হলেন, আব্দুল হান্নান, মেহেদী হাসান, শাহীন মিয়া ও রানা মিয়া।
এদের মধ্যে আব্দুল হান্নান আটক এমপি ডা. আব্দুল কাদের খাঁনের ব্যক্তিগত গাড়িচালক, শাহীন তার ভাতিজা এবং মেহেদী তার বাড়ির কাজের লোক। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) ভোরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেওয়ার জন্য গাইবান্ধা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে তারা আদালতের বিচারক মইনুল হাসান ইউসুফের কাছে স্বীকারোক্তীমূলক জবানবন্দি দেয়। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছে।
এছাড়া রানা মিয়াকে পুলিশ নজরবন্দি করে রেখেছে। যেকোন মুহূর্তে তাকেও গ্রেফতার করা হবে বলে জানান তিনি।
আটক কর্নেল (অব.) ডা. আবদুল কাদের খাঁন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি। তার বাড়ী সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপরহাটি (খাঁনপাড়া)। তিনি ওই গ্রামের মৃত্যু নয়ান খাঁনের ছেলে। তিনি সপরিবারের বগুড়া জেলা শহরের গরীব শাহ ক্লিনিকের চার তলা ভবনের ওপর তলায় বসবাস করেন। মঙ্গলবার বিকেলে সেখান থেকেই গাইবান্ধা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তাকে আটক করে।
৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ (মাস্টারপাড়া) এলাকায় নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে ১ ডিসেম্বর সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় কর্নেল আবদুল কাদের খাঁনসহ ১১০ জনকে আটক করে পুলিশ। এর মধ্যে ২৪ জনকে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭/আপডেট:১১৩৩
আরএ