বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাইবান্ধা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মইনুল হাসান ইউসুব তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুন্দরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু হায়দার মো. আশরাফুজ্জামান আদালতে গ্রেফতারকৃত আব্দুল কাদেরকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিয়ার রহমান বাংলানিউজকে জানান, সাবেক এমপি আব্দুল কাদের সপরিবারে বগুড়া জেলা শহরের গরীব শাহ ক্লিনিকের চারতলা ভবনের ওপর তলায় বসবাস করেন। লিটন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে গাইবান্ধা জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া থেকে পুলিশভ্যানে করে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আনা হয় তাকে। এরপর বুধবার দুপুরে তাকে লিটন হত্যা মামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের চেয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এর প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে বিচারক ১০ দিনেরই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ডা. আব্দুল কাদের খাঁন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি। তার বাড়ি সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ছাপরহাটি ইউনিয়নের পশ্চিম ছাপরহাটি (খাঁনপাড়া) গ্রামে।
অপরদিকে, লিটন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বিভিন্ন দলের অন্তত ১২৮ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদের মধ্যে ২৩ জনকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর মধ্যে ১৪ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
এর আগে, ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নে শাহবাজ (মাস্টাপাড়া) এলাকায় নিজ বাড়িতে আততায়ীদের গুলিতে নিহত হন এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় লিটনের বোন তাহমিদা বুলবুল বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজনকে আসামি করে ১ ডিসেম্বর সুন্দরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
** লিটন হত্যার আসামি কাদেরের বাড়িতে অস্ত্রের সন্ধানে অভিযান
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭
এসআই