মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহত সাজেদুল ইসলাম কুড়িগ্রামের উলিপুর থানার সদুল্লা এলাকার গোলাম বারীর ছেলে এবং হনুফা আক্তার ঝালকাঠি সদর উপজেলার পিপিলিকা এলাকার হানিফ হাওলাদারের মেয়ে।
জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কামারজুরি এলাকায় ডা. শাহ আলমের বাড়িতে চারবছর ধরে সপরিবারে ভাড়া থাকতেন সাজেদুল। পার্শ্ববর্তী বাদে কলেম্বর এলাকার সেলিমের বাড়িতে সপরিবারে ভাড়ায় থাকতেন হনুফা। তারা উভয়েই বিবাহিত।
স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরিসূত্রে তাদের দু’জনের মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত একমাস আগে সাজেদুলের স্ত্রী তার একমাত্র সন্তান নিয়ে গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যায়। এ সুযোগে সাজেদুল ও হনুফা আরও ঘনিষ্ঠভাবে চলাফেরা করতে থাকেন।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে হনুফা সাজেদুলের বাসায় যান। পরে রাতে সাজেদুলের ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে সাজেদুল-হনুফার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় এলাকাবাসী। ওই রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে তারা দু’জন আত্মহত্যা করেছেন।
স্থানীয় কাউন্সিলর মো. মনির হোসেন বাংলানিউজকে জানান, আলমগীর নামের সাজেদুলের এক বন্ধু সন্ধ্যায় সাজেদুলের বাসায় যান। ডাকাডাকি করলে সাড়া না পেয়ে দরজা ধাক্কা দিলে তা খুলে যায়। এসময় ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে একই রশিতে সাজেদুল-হনুফার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
পরে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দিলে রাত ১১টার দিকে মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭
আরএস/এএ