বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সাত্তার ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার এনায়েতপুর এলাকার মো. ইব্রাহীমের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বাড়ীয়ালী এলাকায় শাহজাহান ড্রাইভারের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্বামী-স্ত্রী দু’জনই স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
২০১৬ সালের ৫ মার্চ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হাসিনা কর্মস্থলে চলে যায়। কিন্তু ওই রাতে তিনি আর বাসায় ফেরেননি। পরদিন সকাল ৮টার দিকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টেকনগপাড়া এলাকায় পতিত জমিতে গলায় ওড়না পেচানো হাসিনার মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় ৭ মার্চ নিহতের ভাই মো. রাজ্জাক (৪০) বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ মামলার তদন্ত করে সাত্তারকে গ্রেফতার করে। তিনি হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। অবশেষে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার দুপুরে সাত্তারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। এ দম্পতির আকাশ (৯) ও পুষ্প (১৩) নামে দুটি সন্তান রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি হারিজউদ্দিন আহম্মেদ এবং আসামি পক্ষে ছিলে অ্যাডভোকেট এ কে এম মাসুম আল আজাদ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭।
আরএস/আরআইএস/আরআই