এছাড়া মরদেহ গুমের চেষ্টা করায় তাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে তাকে। উভয় দণ্ড এক সঙ্গে চলবে।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সানা মো. মাহরুফ হোসাইন এ রায় দেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর এলাকার থানাপাড়ার নুর হোসেন লোটাসের ওষুধের দোকানের কর্মচারী ছিলেন শাকিল। তিনি প্রতিদিন লোটাসের ছেলে আরাফাতকে বাড়ি থেকে স্কুলে আনা-নেওয়া করতেন। প্রতিদিনের মতো ২০১২ সালের ৭ অক্টোবর আরাফাতকে বাড়ি থেকে স্কুলে নিয়ে যান শাকিল। এরপর তারা আর বাড়ি না ফেরায় কালীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি করে লোটাসের পরিবার।
পরে শাকিলের অবস্থান জানতে তার মোবাইল ফোনে কল করলে তিনি জানান যে তিনি যশোরে খালার বাড়িতে আছেন। শিশুটির খবর তিনি জানেন না বলেও জানান।
অনেক খোঁজাখুঁজি করেও দুপুর পর্যন্ত শিশুটির সন্ধান পাচ্ছিল না পরিবার। এদিকে, একই দিন পুলিশ কালীগঞ্জ মেইন বাসস্ট্যান্ড থেকে শাকিলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এসময় তিনি স্বীকার করেন যে কালীগঞ্জের হেলাই গ্রামের একটি আখক্ষেতে নিয়ে শিশু আরাফাত হোসেনকে পলিথিন দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ আখের পাতার নিচে লুকিয়ে রেখেছেন। পরে পুলিশ সেখান থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় শিশুটির মামা আবু সাইদ ফিন্টু বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় শাকিল আহমেদকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এর প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় দেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭
এসআই