পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী মোক্তারের সহযোগীরা ডিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে ৫ থেকে ৭ রাউন্ড গুলি করে। আত্মরক্ষার্থে ডিবি সদস্যরাও পাল্টা ৬ থেকে ৭ রাউন্ড গুলি করে।
বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাতে ডিবি’র উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাজহারুল ইসলাম বাংলানিউজকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, অভিযানে কিলার মোক্তারকে আটক করলে তার সহযোগী মানিক এএসআই আজিজকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় আজিজের ডান পায়ে গুলি লাগে। পাল্টা গুলি চালালে মানিক ঘটনাস্থলে মারা যায়। এর ফাঁকে মোক্তার পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধাওয়া করে ডিবি সদস্যরা। মোক্তার ডিবি সদস্যদের লক্ষ্য করে ৫ থেকে ৭ রাউন্ড গুলি করে, আত্মরক্ষার্থে ডিবি সদস্যরাও পাল্টা ৬ থেকে ৭ রাউন্ড গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে মোক্তারও ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
সূত্র জানায়, মাদক চক্রের লাগাম হাতে নিতে গত বছরের ২১ অক্টোবর ফতুল্লার পাগলায় মাদক ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেনকে (৩০) কুপিয়ে হত্যা করে মোক্তার। হত্যার অভিযোগ এনে বিল্লালের মা শাহিদা বেগম কিলার মোক্তারসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার তদন্তে সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর আলমকে (৩০) গ্রেফতার করে পুলিশ।
ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামালউদ্দিন জানান, কেবল মাদক নয়, হত্যা, চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা, অপহরণসহ একাধিক মামলা রয়েছে মোক্তার এবং তার বাহিনীর সদস্যদের নামে। এর মধ্যে মোক্তারের নামে ফতুল্লায় ৪টি, কদমতলীতে ১টি এবং সিদ্ধিরগঞ্জে ২টি মামলা রয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, গত বছরের ৫ আগস্ট ফতুল্লার পাগলা শাহীবাজার এলাকা থেকে বাহাদুর (১২) নামে এক কিশোরকে অপহরণ করে পরিবারের কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে কিলার মোক্তার বাহিনী। ওই ঘটনায় কিলার মোক্তার বাহিনীর সদস্য শাহ আলমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আলম জানায়, অপহরণে মোক্তারকে আরও সহযোগিতা করেছে সাজু, জাহাঙ্গীর, নুর হোসেন ও শাকিল।
নিহত দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে, জানান কামালউদ্দিন।
** নারায়ণগঞ্জে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২
বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭
এটি