শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুরো হালগড়া গ্রামে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হালগড়া গ্রামে জমি নিয়ে মজু মিয়া ও তার ভাই কাদেরের সঙ্গে একই এলাকার রফিক মিয়া ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য রহিজ উদ্দিনের দ্বন্দ্ব চলছিল।
গত ২৩ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) জমি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষে ১০ জন আহত হন। গুরুতর আহত কাদেরের ভাই আব্দুস সাত্তার শুক্রবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তার মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌঁছলে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ হালগড়া গ্রামে অবস্থান নেয়। রহিজ উদ্দিন-রফিকের বাড়িতে আগুন দেয় প্রতিপক্ষরা। এতে ২০/২৫টি ঘর আগুনে পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর দাবি, পুলিশের উপস্থিতিতে বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে।
শেরপুর সদর থানার ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে রহিজউদ্দিনের লোকজন নিজেদের বাড়িতে আগুন লাগিয়েছে। এতে ২০/২৫টি ঘর পুড়ে গেছে। আগুন দেওয়ার সময় এক নারীকে পুলিশ ধরে ফেললে পুলিশের ওপর হামলা করে তাকে ছাড়িয়ে নেয় রহিজ উদ্দিনের লোকজন।
এ ঘটনায় সাইফুল ইসলাম নামে এক পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই কাদের বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন বলেও ওসি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৭
আরআর/জিপি