একইসঙ্গে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ‘অগণতান্ত্রিক’ ও ‘অযৌক্তিক’ এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছেন।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে’ নাগরিক কমিটির পক্ষে সৈয়দ আবুল মকসুদের অবস্থান ধর্মঘটে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আবুল মকসুদ বলেন, সরকার বলেছিল গ্যাসের মূল্য বাড়াবে, এজন্য বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হয়। তাতে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রয়োজন নেই বলে মত দেওয়া হয়। এমনকি গণশুনানিও হয়েছে। এরপরও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করা হলো। এজন্য রাস্তার ভিখারি থেকে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
তিনি বলেন, পেট্রোবাংলা গত অর্থবছর ৩ হাজার ২০০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। অামলারা গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জনস্বার্থের কথা চিন্তা না করে নিয়েছেন। এতে দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
উদারহণ টেনে তিনি বলেন, শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) এক গার্মেস্টস শ্রমিক আমাকে বললেন, মাসের ১০ দিন ভর্তা দিয়ে ভাত খাই। গ্যাসের দাম বাড়ার কারণে অন্তত দশদিন কাঁচাবাজার করতে পারবো না। শুধু এ শ্রমিক নন, গণপরিবহনের ভাড়া নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে। যাত্রীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
এসব বিবেচনা করে গ্যাসের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে বিশিষ্ট এ কলামিস্ট বলেন, সরকার যদি জনগণের স্বার্থ চিন্তা করে, গণতন্ত্র ও সংবিধান বিশ্বাস করে তাহলে এ সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার অাহ্বান জানাচ্ছি।
সংহতি প্রকাশ করে গণসংহতি অান্দোলনের সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকী বলেন, পাঁচ মাস আগে হওয়া গণশুনানিতে সরকার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির যৌক্তিকতা প্রমাণ করতে পারেনি। সরকার কায়দা-কানুন করে জনগণের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে। কিভাবে এতো বিভাগের টাকা আরেক বিভাগে সরাবে তার চেষ্টা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গ্যাসের দাম যদি ১০০ বা ২০০ টাকা বাড়ে তাহলে বাড়ি ভাড়া ৫০০ থেকে এক হাজার টাকা বাড়ানো হয়। এ অনিয়ম নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা না করে অযৌক্তিকভাবে গ্যাসের দাম বাড়ানো হলো।
অবস্থান কর্মসুচি থেকে জনসাধারণের প্রতি বাম দলগুলোর ডাকা ২৮ ফেব্রুয়ারির হরতাল সমর্থন দিয়ে সফল করার আহ্বান জানানো হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে সংহতি জানান বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, কেন্দ্রীয় নেতা বজলুল রশিদ, বুড়িগঙ্গা বাঁচাও অান্দোলনের আহ্বায়ক মিহির বিশ্বাস, লালন গবেষক ফিরোজ সরদার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭
এমসি/জেডএস