রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে একটি দৈনিকের সেমিনার হলে ‘বাংলাদেশের আদিবাসীদের মানবাধিকার রিপোর্ট-২০১৬’র মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনা সভায় তিনি এ প্রশ্ন রাখেন। অক্সফামের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে কাপেং ফাউন্ডেশন।
তিনি বলেন, গাইবান্ধার পুলিশ সুপারকে (এসপি) সাতক্ষীরায় বদলি করা হয়েছে। তার চাকরিই তো বদলিযোগ্য চাকরি; তাহলে বদলি করলে শাস্তি হয় কীভাবে? এটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের সঙ্গে বড় ধরনের বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতারণা। আজকে মানুষজন এতোটা বোকা নয়, তারা সবই বোঝেন, এটা সবার মনে রাখা দরকার।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যেই কাজটি রাষ্ট্রের করার কথা। সেই কাজটি করলে আমরা তার জন্য ধন্যবাদ দেবো কেনো? কারণ আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি যে রাষ্ট্র কোনো কিছুই করে না। তাই রাষ্ট্র তার দায়িত্বের সামান্য কিছু করলে আমরা তার জন্য প্রশংসায় ভাসিয়ে দেই।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান বলেন, রাষ্ট্রের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত প্রতিটি নাগরিকের কল্যাণ করা। আর সেটি করতে পারলেই প্রতিষ্ঠিত হবে আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ।
ড. মিজানুর রহমান বলেন, বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার হুমকির মুখে। এর প্রভাব আমাদের মতো মধ্যম আয়ের দেশেও পড়বে। তাই আমাদের সবাইকে একত্রিত হয়ে মানবাধিকারের জন্য কাজ করতে হবে। তবে পথটি বন্ধুর। তারপরও সবাইকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ সরেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, নারী অধিকার কর্মী খুশী কবীর, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রংসহ আরও অনেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭
এমএইচকে/আইএ