রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া ধর্মঘটের কারণে বাগেরহাট থেকে সব রুটে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এদিকে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন খুলনা বিভাগীয় আঞ্চলিক কমিটির ডাকা এ ধর্মঘটের কারণে বিআরটিসি, মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার চলাচলেও বাধা দিচ্ছে পরিবহন শ্রমিকরা।
বাগেরহাট স্থানীয় বাস শ্রমিকরা জানান, যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া বাসচালক জামির হোসেনকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। তাকে মুক্তি না দিলে পর্যায়ক্রমে এ আন্দোলন সারাদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন খুলনা বিভাগীয় কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ধর্মঘটের কারণে ভোর থেকে শত শত যাত্রী বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এসে বিপাকে পড়ে। নির্দিষ্ট গন্তব্যের গাড়ি না পেয়ে অনেকেই ভ্যান রিকসা ও ছোট ছোট যানে করে গন্তব্যে যেতে চেষ্টা করছে।
বাগেরহাট বাস টার্মিনালে দাঁড়িয়ে থাকা নিয়ামুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমার বাবা অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে ভারতে যেতে বাগেরহাট থেকে বেনাপোলগামী বিআরটিসির বাসে টিকিট কেটেছিলাম। সকালে বাসস্ট্যান্ডে এসে শুনলাম শ্রমিকরা বাস চলতে দিচ্ছেনা। হরতাল অবরোধের সময়ও বিআরটিসির বাস চলে কিন্তু এখন তাও চলছে না। সময়মতো পৌঁছাতে না পারলে অসুস্থ বাবাকে চিকিৎসা করাতে পারব না।
ঢাকার বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী মাহাফুজ আহম্মেদ বাংলানিউজকে বলেন, ছুটি নিয়ে পরিবারের সঙ্গে বাড়িতে এসেছিলাম। এখন ধর্মঘটের কারণে ফিরতে পারছি না। ঢাকা যাওয়ার বিকল্প কোন মাধ্যম না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছি।
বাগেরহাট আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খান আবু বক্কর বাংলানিউজকে বলেন, শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়ে বাগেরহাটের ১৬টি রুটে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রেখেছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বাংলানিউজকে বলেন, শ্রমিক সংগঠনের ডাকা ধর্মঘট বাগেরহাটে শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হচ্ছে। ধর্মঘটে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সব ধরনের সহিংসতা রোধ করতে পুলিশের একাধিক দল রাস্তায় টহল দিচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৭
এনটি/আরএ