সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে মাহফুজুর রহমানের লিখিত প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মুজিবুল হক বলেন, যানজট নিরসনকল্পে রাজধানী ঢাকার চতুর্দিকে বৃত্তাকার রেলপথ নির্মাণের পরিকল্পনা বর্তমান সরকারের আছে।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য রহিম উল্ল্যাহ’র অপর এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, রেলওয়ের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার একটি কন্টেইনার কোম্পানি গঠন করেছে। এ কোম্পানি কার্যক্রম শুরু করলে রেলওয়ের আয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়। এছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আঞ্চলিক রেল যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের মাধ্যমে রেলওয়েতে মালবাহী ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে রেলওয়েকে একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে সহায়ক হবে।
রেলওয়ের আয় বৃদ্ধিও ক্ষেত্রে ভাড়া বৃদ্ধির প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, দীর্ঘদিন যাবত রেলওয়ের ভাড়া বৃদ্ধি না করার ফলে রেলওয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়। কারণ এ সময় জ্বালানি তেলের মূল্য কয়েক গুণ বৃদ্ধি এবং সরকারি চাকুরিজীবীদের কয়েক দফা বেতন বৃদ্ধির ফলে পরিচালনা ব্যয় বহুগুণ বেড়ে যায়। এজন্য রেলওয়েতে যাত্রী ও মালামাল পরিবহনের ভাড়া যৌক্তিকভাবে সমন্বয় করা হয়েছে। ভবিষ্যতে চলমান বাজার মূল্যের সঙ্গে রেলওয়ের ভাড়া সমন্বয় অব্যাহত রাখা হবে, যাতে করে আয় ব্যয়ের পার্থক্য অর্থ্যাৎ লোকসান হ্রাস করা সম্ভব হয়।
সোহরাব উদ্দিনের অপর এক প্রশ্নোত্তরে মুজিবুল হক বলেন, রেলওয়ের টিকিট কালোবাজারি রোধসহ টিকিটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে নানাবিধ প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে রেলওয়ের আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিটের উপর যাত্রীর বয়স ও জেন্ডার উল্লেখ করা হচ্ছে। টিকেটের উপর যাত্রীর নাম লেখার বিষয়টি পরীক্ষাধীন পর্যায়ে রয়েছে।
বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্য একেএম মাঈদুল ইসলামের এক প্রশ্নোত্তরে রেলমন্ত্রী বলেন, ব্রিজের মূল অবকাঠামোতে কখনই বাঁশ ব্যবহার হয় না। ট্রেন চলাচললের ফলে কোনো কোনো স্লিপার আঁকাবাঁকা হয়ে যাওয়া রোধকল্পে স্থানীয়ভাবে রেল কর্মচারীরা বাঁশ ব্যবহার করতে পারেন, তা বিপদজনক নয়। কারণ ব্যবহৃত ওই বাঁশ কোনোভাবেই ভার বহন করে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭
এসএম/জিপি/এমজেএফ