মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দিনগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গের সামনে নিহত এক নারীর তিন মেয়ে ও তার বৃদ্ধা মা এভাবেই আর্তনাদ করছিলেন।
এর আগে, যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় তাসলিমা নামে এক নারী গুরুতর আহত হন।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিহতের বড় মেয়ে মিথিলা বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের আর কেউ নাই। সব শেষ হইয়া গেছে। বাবা স্ট্রোক কইরা মারা গেছে এক বছর হয় নাই। এখন আমরা কই যামু, কার কাছে থাকুম।
তিন মেয়ের পেছনে দাড়িয়ে থাকা মৃত তাসলিমার মা আনোয়ারা বেগম। তিনি হতবাক হয়ে মেয়ের মরদেহের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। তার চোখে কোনো পানি নাই। কথা বলতে পারলেও মেয়ের মৃত্যুতে তিনি নির্বাক হয়ে পড়েছে।
মৃত তাসলিমার ভাই বাদল বাংলানিউজকে জানান, তিন মেয়েসহ তাসলিমা জুরাইন আলম মার্কেট এলাকায় থাকতেন। তার স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে তিন মেয়েকে নিয়ে খুব চিন্তা করতেন। বড় মেয়ের বিয়ে হলেও ছোট দুই মেয়ের পড়াশোনা নিয়ে তাসলিমা নানা চিন্তা করতেন।
তাসলিমার মরদেহ বরগুনার সদর উপজেলায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দাফন করার জন্য বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৭ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৭
আরআইএস/এনটি