মামলার বাদীর ছাতক প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন তালুকদার ও আইনজীবী অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, রাগীব আলী ও তার ছেলে আবদুল হাই পলাতক থাকাবস্থায় পত্রিকা প্রকাশ করলেও অবৈধ প্রকাশনার ব্যাপারে তৎকালীন জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদিন কোনো ব্যবস্থা নেননি।
এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে আদালতে আরও একটি আবেদন করা হয়েছিল। আদালত শুনানি শেষে দুদকে এ ব্যাপারে অভিযোগ দেওয়ার জন্য নালিশকারী গিয়াস উদ্দিনকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের ০৮ সেপ্টেম্বর রাগীব আলী ও আবদুল হাইয়ের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে মামলা করেন গিয়াস উদ্দিন তালুকদার।
পলাতক অবস্থায় সম্পাদনাজনিত প্রতারণার অভিযোগ এনে রাগীব আলীর ৫৮ বছর ও তার ছেলে আবদুল হাইয়ের ২৯ বছরের কারাদণ্ডের আবেদন করেন বাদী।
আদালত ওই দিন মামলাটি আমলে নিয়ে দণ্ডবিধির ৪১৭ ধারায় তাদের বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দেন। তবে সমন পাওয়ার পর জবাব না দেওয়ায় পরের মাসে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
সিলেটের তারাপুর চা বাগানের হাজার কোটি টাকার দেবোত্তর সম্পত্তি দখলের অভিযোগে দুটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর গত বছরের ১০ আগস্ট রাগীব আলী ও তার একমাত্র ছেলে আবদুল হাই ভারতে পালিয়ে যান।
পলাতক থাকাবস্থায় রাগীব আলী সিলেটের ডাক পত্রিকার সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি ও তার ছেলে আবদুল হাই সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। মামলা দায়েরের পর আব্দুল হাইকে সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে রাগিব আলীর ভাতিজা আব্দুল হান্নানকে রাগীব আলী মালিকানা পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে স্বপদে বহাল থাকেন রাগিব আলী। এ অবস্থায় তার মালিকানাধীন স্থানীয় দৈনিক সিলেটের ডাক প্রকাশিত হচ্ছে।
এর আগে, ০২ ফেব্রুয়ারি ভূমি মন্ত্রণালয়ের স্মারক জালিয়াতির মামলায় কথিত শিল্পপতি রাগিব আলী ও তার ছেলে আব্দুল হাইকে চারটি ধারায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন মহানগর মূখ্য হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো।
এছাড়া তারাপুর চা বাগানের দেবোত্তর সম্পত্তি আত্মসাতের মামলা একই আদালতে বিচারাধীন।
বাংলাদেশ সময়: ০২০২ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৭
এনইউ/এসএনএস