ঢাকা, সোমবার, ১৯ মাঘ ১৪৩১, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বৃদ্ধা হয়েও মিলছে না বয়স্কভাতা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৫২ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০১৭
 বৃদ্ধা হয়েও মিলছে না বয়স্কভাতা এদের ভাগ্যে আজও জুটেনি বয়স্কভাতা, ছবি : বাংলানিউজ

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার): প্রায় সবগুলো দাঁতই পড়ে গেছে। কথা বলতে গেলে অনেকটা অস্পষ্ট হয়ে বের হয়। শরীর কিছুটা অসুস্থ থাকায় কষ্ট করে হেঁটে চলেন এদিক-ওদিক।

ছয় সদস্যের সংসারে উপার্জনক্ষম মাত্র একজন। সংসারের দুর্দশা আর দারিদ্রতার সঙ্গে যুদ্ধ করা এই বৃদ্ধার নাম ফিরোজা খাতুন।

থাকেন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়ন পরিষদের নোয়াগাও গ্রামে। তার কপালে আজও জুটেনি বয়স্ক ভাতা।

শুধু তিনিই নন, একই অবস্থা ওই গ্রামের গুলজাহান বিবি, জরিনা বেগম, আনোয়ারা আলী, সুফিয়া খাতুন, আম্বিয়া বেগম, হামিদা বানু, রাবেয়া খাতুন এবং জমিলা বেগমের।

অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। তারা তাদের মুখচেনা স্বাবলম্বী মানুষদের বয়স্ক ভাতা দিয়ে থাকেন।   

সিন্দুরখান ইউনিয়ন পরিষদের নোয়াগাঁও গ্রাম সরেজমিন ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।

গ্রামের অনেক বয়স্ক নারীরাই পাননি ভাতা। বিধবাদেরও মিলেনি কার্ড। নয়জন বয়স্ক নারীর সঙ্গে কথা বললে তাদের প্রত্যেকের অভিযোগ, অনুরোধ প্রায় একই। বয়স্ক নারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি : বাংলানিউজজরিনা বেগম বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যানের কাছে গিয়ে কানছি পর্যন্ত, তবু একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড আজও পাইনি। ’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গ্রামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, গ্রামের অনেক বয়স্ক নারীই বয়স্ক ভাতার কার্ড পাননি। পাননি বিধবা ভাতার কার্ডও। সিন্দুরখান ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হেলালের সঙ্গে কথা বলতে গেলেই তিনি বলেন- ‘এই গ্রামের মানুষ আমাকে ভোট দেয়নি’।

সমাজসেবা অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, বয়স্ক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা বিধান, পরিবার ও সমাজে তাদের মর্যাদা বাড়ানো ও আর্থিক অনুদানের মাধ্যমে মনোবল জোরদারকরণের লক্ষ্যে মূলত সরকারের বয়স্ক ভাতার কার্যক্রম।

কর্মক্ষমতাহীন, শারীরিকভাবে অক্ষম এবং সর্বোচ্চ বয়স্ক ব্যক্তিকে ভাতা দেওয়া অগ্রাধিকারের কথা নীতিমালায় থাকলেও তা তৃণমূলে মানা হচ্ছে না। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এখানে নানান অনিময় করে চলেছেন।

সিন্দুরখান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হেলালের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মোবাসসেলুর ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এখন অবগত হলাম। আপনি যাদের নাম উল্লেখ করেছেন তারা ব্যক্তিগতভাবে আমার বরাবরে দরখাস্ত করলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫২ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০১৭
বিবিবি/এএটি/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।