ঢাকা, সোমবার, ২০ মাঘ ১৪৩১, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

ঝুঁকি এড়াতে রামপালে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৭
ঝুঁকি এড়াতে রামপালে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে বিতর্ক শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট তুলে দেন ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সুমন শেখ

ঢাকা: যেকোনো ধরনের ঝুঁকি এড়াতে রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেছেন, প্রতিটি উন্নয়ন উদ্যোগের কিছু নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া থাকে। রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে কেউ কেউ পরিবেশের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন।

কিন্তু সেখানে ঝুঁকি নিরসনে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১১ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ১ নং ফ্লোরে আয়োজিত এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন হাছান মাহমুদ। রামপালে বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ের ওপর আলোচনার জন্য এ ছায়া সংসদের আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি ‍নামে একটি সংগঠন।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে না। তাই এ নিয়ে অতি উদ্বেগ কাম্য নয়। সরকার সবসময়ই দেশের মঙ্গল চায়। দেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। আর এই অগ্রগতি ধরে রাখতে হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে হবে।

উত্তর আমেরিকা, জার্মানি এবং এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বনাঞ্চলের পাশে বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেসব স্থানে জীববৈচিত্র্যের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষেত্রেও আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার এবং গরম পানি রিসাইক্লিং ব্যবস্থার কারণে পরিবেশগত বিপর্যয়ের কোনো ঝুঁকি থাকবে না।  

হাছান মাহমুদ জানান, বৈশ্বিক যে রীতি আছে তাতে বনাঞ্চলের ১০ কিলোমিটার দূরত্বে এ ধরনের প্রকল্প করা যেতে পারে। সুন্দরবন থেকে বিদ্যুৎ কেন্দ্র ১৪ কিলোমিটার দূরে। আর সুন্দরবনের যে অংশকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে, সেখান থেকে ৬৯ কিলোমিটার দূরে রামপাল। কয়লাবাহী জাহাজগুলো কভার্ড জাহাজ হবে, তাই এতে বাতাস দূষণ হবে না। ফ্লাই অ্যাশগুলো কোনো ক্ষতি করবে না।

ছায়া সংসদের স্পিকার (সভাপতি) ছিলেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী। ছায়া সংসদে বিতর্কে অংশ নেয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। এতে গ্রিন ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে জাহাঙ্গীরনগর। বিতর্ক শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।  

ছায়া সংসদে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক রোকেয়া পারভিন জুঁই ও ড. এস এম মোর্শেদ।  

এতে উপস্থিত ছিলেন ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশনের মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান খানসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৭
আরএটি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।