মানবপাচারের বৈশ্বিক অভিশাপ প্রতিরোধে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। সেইসঙ্গে তুলে ধরেন পাঁচ পরামর্শ।
বুধবার (১৫ মার্চ) ‘সংঘাত পরিস্থিতিতে মানবপাচার: জোরপূর্বক শ্রমবৃত্তি, বেতন-ভাতা এবং অন্যান্য বিষয়াদি’ নিয়ে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতির ফলেই বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায়ে এই বৈশ্বিক অভিশাপ প্রতিরোধে ব্যাপক আইনগত, নীতিগত ও প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পেরেছে। মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন-২০১২ প্রণয়ন এবং এর বাস্তবায়নে ২০১৫-২০১৭ মেয়াদে জাতীয় কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যার আওতায় জেলা, উপজেলা ও জাতীয় পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে নিয়মিতভাবে এ সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ ও পারস্পরিক সমন্বয় চালু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাদের সামর্থ্য আরও বৃদ্ধি করতে তথ্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা, কার্যকর তথ্য প্রচারণা কৌশল, বিচার প্রক্রিয়া ও মানবপাচার মামলাগুলোর দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে আমরা বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছি।
সংঘাতময় পরিস্থিতিতে মানবপাচার প্রতিরোধে স্থায়ী প্রতিনিধি এ সভায় পাঁচটি পরামর্শ তুলে ধরেন। যার মধ্যে রয়েছে, মানবপাচার সংক্রান্ত বিষয় পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয়ের জন্য জাতিসংঘে একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোকাল পয়েন্ট তৈরি, সংঘাতময় পরিস্থিতিসহ যেকোনো পরিস্থিতিতে মানবপাচার এবং এ সংশ্লিষ্ট অপরাধের শিকার ব্যক্তি/ব্যক্তিবর্গকে জাতিসংঘ কাউন্টার ট্রাফিকিং এজেন্ডার সর্বাগ্রে স্থান দেওয়া, ইউএনটিওসি’র আওতায় জাতীয় পর্যায়ে আইনগত পদক্ষেপ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা, মানবপাচার সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইনগত বিষয়াদি ও বাধ্যবাধকতার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তা ও পরামর্শ প্রদান এবং মানবপাচার ও সংশ্লিষ্ট অপরাধের মূল কারণ খুঁজে বের করা।
মানবপাচার, দাসত্ব ও জোরপূর্বক শ্রমবৃত্তির বিরুদ্ধে জাতিসংঘ-সমন্বিত যেকোনো পদক্ষেপকে আরও শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সব সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে একযোগ কাজ করে যাবে মর্মে রাষ্ট্রদূত আবারও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৭
আইএ