শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরের চলমান চোরাচালান ও শুল্ক ফাঁকি প্রতিরোধ অভিযানের অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) এ বিলাসবহুল গাড়ি দু’টি জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মঈনুল খান।
তিনি জানান, গাড়ি দু’টি বাংলাদেশের কোনো একটি বিদেশি দূতাবাসের নামে আমদানি করা হয়েছিল। পরে কাস্টমস আইনের বিধান অনুযায়ী গাড়ি দু’টি সুষ্ঠুভাবে নিষ্পত্তি না করেই একজন অভিজাত ব্যবসায়ীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ওই ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি দু’টি ব্যবহার করলেও কাগজপত্রে যথাযথভাবে গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন করেননি, যা অবৈধ ও অপরাধ বলে প্রতীয়মান হয়।
মইনুল খান আরও জানান, গাড়ি দু’টি দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর মিরপুর-১২ এর একটি ওয়ার্কশপে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তর থেকে গাড়ি দু’টির বিষয়ে সেখানে যোগাযোগ করা হয়। এই প্রেক্ষিতে ব্যবহারকারী বৃহস্পতিবার সকালে মো. মুকুল হোসেন ও মো. আশরাফ আলী নামে দুই ব্যক্তির মাধ্যমে গাড়ি দু‘টি কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা সদরদপ্তরে জমা দেন।
গাড়ি দু’টি শুল্ক গোয়েন্দা আইন অনুযায়ী জব্দ দেখানো হয়েছে। এই বিএমডব্লিউ ও ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডোর বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা।
গাড়ি দু’টির ব্যবহারকারীর বিষয়ে জানতে অনুসন্ধান চলছে এবং আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মঈনুল খান।
এর আগে, ৯ মার্চ রাজধানীর গোলাপবাগ এলাকা থেকে একটি বিলাসবহুল বিএমডব্লিউ গাড়ি জব্দ করে র্যাব-৩।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৭
এসজে/এইচএ/