প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব-১ কাজী নিশাত রসুল স্বাক্ষরিত জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো এক ফ্যাক্স বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকাল ১০টায় প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও তারপরে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা জাতির পিতার সমাধিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত বইমেলার উদ্বোধন, সেলাই মেশিন বিতরণ ও “খোকা থেকে বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে আলোকচিত্র পরিদর্শন করবেন।
এদিকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্তা ব্যক্তিদের স্বাগত জানাতে ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত মহাসড়কে অর্ধশতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি দিয়ে গোপালগঞ্জকে সাজানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সের সৌন্দর্য। কঠোর নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে পুরো জেলা।
গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ৯৮তম জন্মদিন উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় শিশু দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে নেতাকর্মীরা উজ্জ্বীবিত। তাকে স্বাগত জানাতে গোপালগঞ্জকে তোরণ ও ব্যানার দিয়ে সাজানো হয়েছে।
গোপালগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জোয়ারদার তাবেদুন নবী বলেন, এ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স ধুয়ে মুছে পরিষ্কার ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান বলেন, শুক্রবার রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীরা ছাড়াও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা টুঙ্গিপাড়া আসবেন। এজন্য তিনস্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৭
এসআই