বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘বাংলাদেশ শিশু পরিস্থিতি-২০১৬ সংবাদপত্রের পাতা থেকে’ শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপন সভায় তিনি এ তথ্য জানান।
শিশুর অধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরে কাজী রিয়াজুল হক বলেন, বাংলাদেশে গত কয়েক বছরের মধ্যে ২০১৬ সালে বাল্যবিবাহ ও শিশু পাচার সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
নতুন বাল্যবিবাহ আইনের সংশোধন নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, নতুন বাল্যবিবাহ আইন নিয়ে আমরা হতাশ। যখন দেশে বাল্যবিবাহের মাত্রা প্রতিনিয়ত কমের দিকে আসছিলো, ঠিক সেই সময় নতুন আইন করায় এই সমস্যা আবার বেড়েছে।
‘বাল্যবিবাহ শিশু আইনের সবকিছুর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। আইনটি সরকার খুব তড়িৎ গতিতে পাস করেছে। আমরা বাল্যবিবাহ রোধে ভালো অবস্থানে ছিলাম। কিন্তু কেন এ আইনের পরিবর্তন করা হলো?’- যোগ করেন তিনি।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সালে ৮৩ জন শিশু বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। ২০১৫ সালে শিকার হয় ১১ জন। ২০১৬ সালে বাল্যবিয়ের জন্য ৪ শিশু নিহত হয়েছে। আত্মহত্যা করেছে একজন। বাবা-মা পিটিয়ে হত্যা করেছে একজনকে। এদিকে, ২০১৬ সালে শিশু পাচারের ঘটনা ঘটে ৩৮টি। ২০১৫ সালে ৩২টি।
শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি এমন ২২টি বিষয় নিয়ে ৫৯টি দৈনিক পত্রিকার তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, শিশু স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা ২০১৬ সালে এক হাজার ৩৬টি। যা গত ২০১৫ সালে ছিলো ৩১০টি। শিশু অপরাধ ২০১৬ হয়েছে ২৫৯টি, ২০১৫ সালে ছিলো ১১৫টি। শিশুর অনিশ্চিত আগামীর পথে বাধাগ্রস্ত হয়েছে তিন হাজার ১৪৫ জন। যা ২০১৫ সালে ছিলো ৬৭ জন।
প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর আবদুল্লাহ আল মামুন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন আনাম।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কমিউনিটি পার্টিসিপেশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের প্রধান নির্বাহী মোসলেমা বারী।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৭
আরএটি/এসআরএস/টিআই/জেডএম