বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে কুমিল্লা বীর চন্দ্র নগর মিলনায়তনে জনগণের মুখোমুখি এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সুজন, কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মমিনুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সহ-সভাপতি শাহ মো. আলমগীর, মহানগর সভাপতি অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান।
নগরীর ১২নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যাস্ত থাকায় এ অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি আওয়ামী লীগরে মেয়র প্রার্থী আনজুম সুলতানা সীমা।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু বলেন, গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর আমি মাস্টারপ্ল্যান করে কাজ করেছি। কারণ মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া কাজ করা যায় না। আর এই মাস্টারপ্ল্যান করতে এক বছর সময় লেগেছে। তাছাড়া আমি বিরোধী দলের ছিলাম। দেশের পরিস্থিতি ভালো ছিল না। আমি সদর সংসদ সদস্য হাজী বাহারকে বলেছি, আসুন এক সঙ্গে কাজ করি। তিনি আমাকে সহায়তা করেছেন। আমি পরিকল্পনা মন্ত্রী লোটাস কামালের সঙ্গে একাধিকবার কথা বলেছি। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ৭০ ভাগ রাস্তার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কুমিল্লা পার্কে ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে সৌন্দর্য্য বর্ধনের কাজ করেছি। সিটি করপোরেশন থেকে শুধু নয় লাখ টাকা নিয়েছি। জনগণ যদি আবার সুযোগ দেয় কুমিল্লা নগরীতে দুইটি ছেলে ও দুইটি মেয়েদের স্কুল করবো। ২০২০ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন হবে দেশের সবচেয়ে সুন্দর সিটি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মেজর (অব.) মামুনুর রশীদ বলেন, একজন মেয়রের একজন সংসদ সদস্যের চেয়ে বেশি কাজ করার সুযোগ আছে। কুমিল্লা সিটিতে ৭০ হাজার বেকার যুবক রয়েছেন। মহানগরীর ৯০ ভাগ লোক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন। জলাবদ্ধতা, যানজট, মাদক সমস্যা ও খেলার মাঠের স্বল্পতা। সবকিছুর জন্য প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনা। আমি জনগণের রায়ে মেয়র নির্বাচিত হলে সঠিক পরিকল্পনা করে আধুনিক পদ্ধতিতে জলাবদ্ধতা ও যানজট নিরসন, বেকার সমস্যা দূরীকরণ ও মাদকমুক্ত যুব সমাজ গড়বো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলবো। ১০ টাকায় স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা করবো। নগরীর প্রতিটি বিদ্যালয়ে মাঠের ব্যবস্থা করে দিবো।
জাসদের প্রার্থী শিরিন আক্তার বলেছেন, জনগণ দুই দলের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। জনগণ পরিবর্তন চায়। আমি মেয়র হলে যানজটমুক্ত ও জলাবদ্ধতামুক্ত কুমিল্লা সিটি গড়বো। তিনি সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কুকে ইঙ্গিত করে বলেন, শুধু লাল-নীল বাতি আর প্লাস্টিকের ফুল দিয়ে সাজালে নগরীর উন্নয়ন হয় না।
সাক্কুকে নিয়ে শিরিন আক্তারের এ বক্তব্যের পর মিলনায়তনে উপস্থিত বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা তাকে কটূক্তি করা শুরু করলে সুজনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণরে চেষ্টা করেন। প্রায় ১০/১৫ মিনিট পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০১৭
এনটি