বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। রাতে নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেন বার সমিতির নির্বাচন কমিশনার এবিএম মশিউজ্জামান।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী নির্বাচনে মোট ২১টি পদের মধ্যে তারা সাধারণ সম্পাদকসহ ১৫টি পদে জয় পেয়েছেন। আর ‘জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ’ মনোনীত প্রার্থীদের মধ্যে জয় পেয়েছেন মাত্র পাঁচজন।
তবে নির্বাচনে সভাপতি পদে দুই প্যানেলের প্রার্থীই সমান সংখ্যক ভোট পেয়েছেন। তাই শীর্ষ এই পদে টাই হয়েছে।
সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ থেকে বিজয়ীরা হলেন- সাধারণ সম্পাদক একরামুল হক, সহ-সভাপতি সুনির্মল সাহা, সৈয়দা মর্জিনা খাতুন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সিরাজী শওকত সালেহীন এলেন, হিসাব সম্পাদক আখতারুল আলম বাবু, লাইব্রেরি সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, অডিট সম্পাদক হেলাল আহমেদ, প্রেস অ্যান্ড ইনফরমেশন সম্পাদক জালাল উদ্দীন এবং সদস্য মনসুর রহমান, আসির উদ্দীন, শফিকুল ইসলাম রেন্টু, মিজানুর রহমান বাদশা, ইমাম হাসান, শেখ তোজাম্মেল আহমেদ ও সাদিকুল ইসলাম।
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ থেকে নির্বাচিতরা হলেন সহ-সভাপতি জানে আলম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নূর-এ-কামরুজ্জামান ইরান, ম্যাগাজিন অ্যান্ড কালচার সম্পাদক মনোয়ারা বেগম এবং সদস্য আমজাদ হোসেন ও মোজাম্মেল হক।
তবে সভাপতি পদে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের প্রার্থী লোকমান আলী ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদের প্রার্থী মোজাম্মেল হক ২শ' ৫৪টি করে ভোট পেয়েছেন। তাদের মধ্যে টাই হয়ে যাওয়ায় আগামী ১৯ মার্চ (রোববার) সভাপতি পদের ভোট পুনর্গণনা করা হবে। তবে এতে আবারও দু’জনের সমান সংখ্যক ভোট মিললে সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। পরে ভোট গণনা করা হয়। গণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ভোটগ্রহণ করা হয় আদালত চত্বরের ১ নম্বর বার ভবনে। মোট ১৫টি বুথে সুষ্ঠুভাবেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। নির্বাচনে এবার ৫শ' ৫৪ জন ভোটার ছিলেন।
এবারের নির্বাচনে ২১টি পদের বিপরীতে দুই প্যানেলে মোট ৪৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর বাইরে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন চার প্রার্থী। তবে তাদের কেউই জয় পাননি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০১ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৭
এসএস/জিটি/জেএম