বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) রাতে দুলালী খাতুনের বড় ভাই জহুরুল ইসলাম বাদী হয়ে চিকিৎসক ডা: আনিছুর রহমানকে আসামি করে সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
দুলালী খাতুন সদর উপজেলার মেছড়া ইউনিয়নের রুপসার চর গ্রামের মৃত কিনু শেখের মেয়ে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন রাত সোয়া ১০টার দিকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত চিকিৎসক পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।
মেছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ ও মৃতের স্বজনেরা জানান, নাকের পলিপাস রোগের চিকিৎসার জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে দুলালীকে শহরের ইসলামিয়া কলেজ রোডস্থ সেন্টার প্যাথলজিতে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসক ডাঃ আনিছুর রহমান তাকে অপারেশনের জন্য পৌরসভার নিয়ন্ত্রণাধীন আরবান হেলথ কেয়ার প্রকল্পের নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র-১ এ নিতে বলেন। সেখানে অপারেশন থিয়েটার না থাকলেও ডাঃ আনিছুর রহমান নিজ চেম্বারে অপারেশন করেন। অপারেশনের পর রোগীর জ্ঞান না ফেরায় চিকিৎসক নিজেই তাকে সদর হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যান। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ ফয়সাল আহম্মেদ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র মিরপুর শাখার অ্যাসিসট্যান্ট অ্যাডমিন নাসিমা বেগম বলেন, ওই রোগীকে নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়নি। কারণ এখানে কোন অপারেশন থিয়েটার নেই। এখানকার ফিজিশিয়ান ডাঃ আনিছুর রহমান রোগীকে নিজ কক্ষে নিয়ে কি চিকিৎসা দিয়েছেন তা আমাদের জানা নেই।
সিরাজগঞ্জের সিভিল সার্জন ডাঃ শেখ মনজুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, ডাঃ আনিছুরের বিরুদ্ধে এর আগেও অভিযোগ উঠেছিল। সে বিষয়ে তাকে ডেকে এনে সতর্কও করা হয়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৭
জেএম/