অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজন করে গুলশান সোসাইটি ও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
এর আগে সোসাইটির সভাপতি ডা. এটিএম নাজমুল হুদার কাছ থেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পোশাক পেয়ে মেয়র আনিসুল হক বলেন, কেমন লাগছে দেখতে আমায়? পাশের সিটে বসা অনেকেই বলছেন আমায় দেখতে বেশ লাগছে।
অনুষ্ঠানে আনিসুল হক বলেন, আগামী ২ বছরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৫২শ’ সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। এলইডি বাতি লাগানো হবে। আমরা ভালো মানের বাতি কিনব। ঢাকা শহরকে বদলে দেব। শুধু তাই নয়, ৬-৮ মাসের মধ্যে ট্রাফিক সমস্যা সমাধানে ২১টি ইউলুপ করা হবে। সব কাজ আমরা সময় নিয়ে করছি। তাতে একটু দেরি হতেই পারে। বর্তমানে আমরা রাজধানীর ৬৩টি এলাকায় ২৫০০ টন বর্জ্য পরিষ্কার করছি। তবে যখন নির্বাচন করেছিলাম তখন প্রতিশ্রুতি ছিলো মেয়রের, ঢাকা শহর সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে। কোনো যানজট থাকবে না, অপরিষ্কার থাকবে না। কিন্তু তখন জানিই না যে, অর্ধেকের বেশি কাজ আইনগতভাবে আমার করারই অধিকার নেই।
মেয়র একা কোনো কাজ করতে পারে না যদি না জনগণ পাশে থাকে মন্তব্য করে তিনি বলেন,মেয়রের চারপাশে সব হাত। যখন এই হাতগুলো এক হয় তখন মেয়রের শক্তি বেড়ে যায়। তখন সব সমস্যার সমাধান এমনিতেই হয়। আমরা ঢাকা শহরকে বদলানোর প্রতিশ্রুতি নিয়ে কাজ করছি। অনেক কাজ যে করে ফেলেছি সেটিও কিন্তু না। তবে আমরা করার চেষ্টা করছি।
তিনি আরো বলেন, একটা সময় ছিলো যখন গ্রিন ঢাকার কথা বলতাম। বিলবোর্ডের জন্য আকাশ দেখা যেতো না। প্রেমিকা ডাক দিলে দূর থেকে শোনা যেতো না। এই বিলবোর্ড আমরা সাফ করেছি। শুনেছিলাম একটি বিলবোর্ড সাফ করতে কারো হাত কেটে নেওয়া হয়েছে। অথচ সিটি করপোরেশনের সবাই মিলে আমরা ২০ হাজার বিলবোর্ড ঢাকা শহর থেকে পরিষ্কার করেছি। এছাড়া আমরা গত বছর ঢাকা শহরে ৩২ হাজার গাছ লাগিয়েছি। এ বছর আরো বেশি গাছ লাগাবো। আর গুলশান সোসাইটি যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তাতে আগামী ২-৩ বছর পর বিশ্বের যে কোনো দেশ থেকে মানুষ আসবে ঢাকা শহর দেখতে।
মেয়র বলেন, সিটি করপোরেশন চাইলে ২-৩ মাসে রাস্তা করতে পারে, তাতে জলাবদ্ধতা দূর হবে না। আগে বৃষ্টি হলে ঢাকা শহরের ২১টি এলাকায় পানি উঠত, এবার ৩টি এলাকায় পানি উঠেছে। আমরা আস্তে আস্তে কাজ করছি। এর চেয়েও বড় কথা, গুলশান ১ থেকে গুলশান ২ এর ৪৯ নম্বর রোড অবিধ যখন কাজ শুরু করি তখন ১৬টি স্থানে ধনী শ্রেণি রাস্তা দখল করেছিলো। সাধারণ হকারকে পুলিশ পিটিয়ে তুলে দিতে পারে, কিন্তু এরা এতোই শক্তিশালী যে আমাদেরকেই পিটিয়ে তুলে দিতে পারে। এরা জায়গা দখল করে বড়বড় বাড়ি তৈরি করেছে। কিন্তু তারা শক্তিশালী হোক, ১ ইঞ্চি জায়গাও ছাড় দেওয়া হয়নি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- রাজউকের চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম আব্দুর রাজ্জাক, গুলশান সোসাইটির সভাপতি ডা.এটিএম শামসুল হুদা, সহ-সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলাল, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহম্মেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫১ ঘণ্টা, মার্চ ১৮,২০১৭
এসজে/জেডএম