১৯শে মার্চ প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ তাৎপর্যপূর্ণ এক গৌরবান্বিত সাহসী ঘটনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ১৯৭১ এ ১ মার্চ থেকে যে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়েছিল তাতে গাজীপুরের জয়দেবপুর হয়ে উঠে অগ্নিগর্ভ।
এ ঘটনায় সারাদেশে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয় সারাদেশে। এ আওয়াজ উঠেছিল “জয়দেবপুরের পথ ধর-বাংলাদেশ স্বাধীন কর। বীর বাঙ্গালি অস্ত্র ধর- বাংলাদেশ স্বাধীন কর। ’ পরবর্তীতে জয়দেবপুরের বীর জনতার পথ ধরেই, অনুসরণ করেই দেশের বিভিন্ন এলাকায় সংগ্রাম ও বিদ্রোহের দাবানল প্রজ্জলিত হয়ে উঠে। বিদ্রোহী ১৯শে মার্চ কেবল একটি তারিখই নয় ১৯ মার্চ বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের স্থান নেয়ার পথিকৃত অগ্রদূত এবং ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ দিন।
জয়দেবপুর চৌরাস্তায় রয়েছে বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য জাগ্রত চৌরঙ্গী। একজন মুক্তিযোদ্ধার বাম হাতে ধরা রাইফেল। ডান হাতে একটি গ্রেনেড ছুঁড়ে মারতে উদ্যত তিনি। ১৮ ফুট উঁচু এই ভাস্কর্যটি ২২ ফুট উঁচু একটি বেদীর উপর নির্মিত। ১৯৭২-১৯৭৩ সালে নির্মিত হয় এই ভাস্কর্যটি। ভাস্কর্যটিতে রয়েছে ২০৭ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নাম। যারা ১৬ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের ৩ নম্বর ও ১১ নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। জাগ্রত চৌরঙ্গী মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ভাস্কর্য।
বাংলাদেশ সময়: ০৬১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৭
আরএস/আরআই